জাতীয়

কোনো প্রকার সংঘাত আমি চাই না-প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা

  প্রতিনিধি ৩ জানুয়ারি ২০২৪ , ৪:৩৫:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,কোনো প্রকার সংঘাত আমি চাই না।” ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন,সেই পরিবেশ প্রার্থীদের তৈরি করতে হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বুধবার গাইবান্ধা, রাজশাহী,টাঙ্গাইল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,কুমিল্লা,চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে নির্বাচনি জনসভায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন,শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে।তাদের ইচ্ছামত ভোট দেবে।এখানে কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।কোনো প্রকার সংঘাত আমি চাই না।”

ভোটারদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,আমি কোনো প্রকার গণ্ডগোল চাই না।সহনশীলতা আপনাদের দেখাতে হবে। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটদানের পরিবেশটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

“মনে রাখতে হবে,এই নির্বাচনটা দেশের জন্য একান্তভাবে জরুরি,কারণ এই বাংলাদেশ নিয়ে অনেকরকম খেলা অনেকে খেলতে চায়।”

শেখ হাসিনা বলেন,”যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না,জয়বাংলার স্লোগান যারা নিষিদ্ধ করে,৭ মার্চের ভাষণ যারা নিষিদ্ধ করে দেয়,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা ধ্বংস করে, তারা দেশটাকে ধ্বংস করবে।এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে।এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে,সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

“আমি চাই,সত্যিকারভাবে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে,যে নির্বাচনে জনগণ তার পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০০১ সালে বিএনপি গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি,লুটপাট,জঙ্গিবাদ, বোমা,গ্রেনেড হামলা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন করে।দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে,সরকার তখন একটা না।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশাপাশি আবার খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তোলে।এতে দেশে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হয়।

“যখন দেখেছে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে,তখন এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট তৈরি করে।আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠন করে।এভাবে নির্বাচন করতে গিয়ে তারা ব্যর্থ হয়। ৯৬ সালেও খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারি জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল,কিন্তু জনগণ মেনে নেয়নি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।আমাদের লক্ষ্য ছিল,আমরা বাংলাদেশকে উন্নত করব।বাংলাদেশের মানুষের অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেব।আমরা সেই বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছি।”

যোগাযোগ,প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া উন্নয়ন কার্যক্রম এবং মানুষের কল্যাণে নেওয়া পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন,বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র হল দুর্নীতি করা আর মানুষ খুন করা। ২০১৩-১৪ সালের মত এবারও তারা ভয়াল রূপ নিয়ে মানুষের সামনে হাজির।মায়ের কোলে শিশুকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা পুরো বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। সাংবাদকিদের পিটিয়েছে,পুলিশকে কীভাবে পুড়িয়ে মেরেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে।

“বাংলাদেশের মানুষকে এই দুর্বৃত্তপরায়ণতার বিরুদ্ধে জবাব দিতে হবে।আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে এর জবাব দেবেন এবং উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখবেন।”

আরও খবর

Sponsered content