জাতীয়

২০১১ সালের ১০ই মে সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেয়

  প্রতিনিধি ৬ অক্টোবর ২০২২ , ৭:২৮:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।বিএনপি’র অনেকগুলো অবাস্তব ও অসাংবিধানিক দাবীর একটি হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করা। এই দাবীর গভীরতা বুঝতে অক্ষম দলটির সাধারণ কর্মীরা। কারণ, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় প্রবর্তিত হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। এই শাসনব্যবস্থার অপপ্রয়োগ রাষ্ট্রকে কতটা ধ্বংসের মুখে নিয়ে গিয়েছিল, তার দগদগে ঘা সবার মানসপটে আজও তাজা। তাই ২০১১ সালের ১০ই মে সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় দেয়।

এছাড়াও সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এ সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করা হয়। এটা একটা মিমাংসিত বিষয় হওয়া সত্ত্বেও বিএনপি বারবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চায়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রণীত হয় সিলেকশনের মাধ্যমে; ইলেকশনের মাধ্যমে নয়। এই ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িতরা যথেচ্ছাচার ঘটানোর সুযোগ পায়। যা ওয়ান-ইলেভেনে ঘটেছিল।

মাইনাস ফমূর্লা, ভয় দেখিয়ে এক ব্যবসায়ীকে দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শাস্তি দেওয়ার অপচেষ্টা, কারাগারে তাকে বিষ খাওয়ানোসহ দেশের শাসনভার অগণতান্ত্রিক উপায়ে কুক্ষিগত করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করার ষোলকলা প্রায় পূর্ণ করে ফেলা হয়েছিল।

রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিজ্ঞতাহীন এবং রাজনৈতিক জ্ঞানশূন্য উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে গড়া এই ফর্মুলেটেড সরকার ব্যবস্থা এ কারণেই বাতিল করে আদালত। সাংবিধানিকভাবে এমন অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট সরকার ব্যবস্থা যেন প্রণীত না হয়, সেজন্য স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। বিশ্বের কোথাও এমন পদ্ধতি স্বীকৃত নয়।

আরও খবর

Sponsered content