শিক্ষা

কৃতি শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরন করে নিল ছাত্র বাংলাদেশ অধিকার পরিষদ

  প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২৩ , ৩:৩৮:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিনিধি।।শিক্ষা-অধিকার-অগ্রগতি স্লোগানকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ’ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আয়োজনে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এসএসসি-দাখিল ও সমমনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে ক্রেস্ট,বই ও শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল, সঞ্চালনা করেন ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক অর্নব হুসেইন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুলহক নুর বলেন,এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত এই নবীনরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।

উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,সাংবাদিক,সুশিল সমাজের ব্যক্তিদের কাছ থেকে এই নবীন শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে কিছুটা ধারনা পাবে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুলহক নুর বলেন,এক সময় ভালো ছাত্ররাই ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নিত।ছাত্র সংসদের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত দেওয়ার সুযোগ পেত। কিভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে,২১ ফেব্রুয়ারি,১৬ ডিসেম্বর উদ্যাপিত হবে তা ছাত্র-শিক্ষকের সম্মিলিত অংশগ্রহণে মুক্ত চর্চার মাধ্যমে এগিয়ে যেত।এখন দেশের কোনো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই। ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকায় সরকারি ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে।

নুরুল হক নুর বলেন,ছাত্রলীগের কথা না শুনলে আগে শুধু প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের গেস্টরুমে ভুক্তভোগী হতে হতো। এখন প্রায় সবাইকে হতে হচ্ছে।লাইব্রেরি থেকে কান ধরে প্রোগ্রামে নিয়ে যাচ্ছে।কেউ কিছু বলতে পারছে না। ১৪ বছর একটা সরকার ক্ষমতায় থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের দাসত্বের মধ্যে পড়ে গেছে।তাদের মিছিল না করলে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয়।আমাদের এ আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক,সুশিল সমাজের ব্যক্তিদের কাছ থেকে এই নবীন শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে কিছুটা ধারনা পাবেন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড়।এই স্বপ্ন পূরণে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আপনি অনেক বড় হবেন,কিন্তু বাবা-মায়ের ত্যাগ ও শিক্ষাকে ভুলে যাবেন না।যেকোনো কাজ করার আগে বাবা-মায়ের কথা কল্পনা করবেন।মায়ের চোখের দিকে তাকালে আপনি কখনোই খারাপ কাজ করতে পারবেন না। বাবা-মাকে আদর্শ হিসেবে বুকে ধারণ করুন।আর কারও পরামর্শের দরকার নেই।

এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসির উদ্দিন,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান,রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব জহির উদ্দিন স্বপন,সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল,লেখক ও শিক্ষা-গবেষক রাখাল রাহা,গণঅধিকার পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ শহীদুল ইসলাম,গণঅধিকারের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাসেল আহমেদ,ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আদিব আরিফ,ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আসাদ বিন রনি,ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আবির ইসলাম সবুজ এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন প্রমুখ।সম্পাদনায় ছিলেন তারিক আল বান্না

আরও খবর

Sponsered content