প্রতিনিধি ৫ জুন ২০২৫ , ৪:৩৪:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক অব্যাহতির সুবিধা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিটিউক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই)।গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে বিএপিআই।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছে,ওষুধের এপিআই শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে বিভিন্ন শুল্কছাড় প্রস্তাব করায় ওষুধের এপিআই শিল্প আরও প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে।বিশেষ করে অতি উচ্চমূল্যের ক্যানসারনিরোধী ওষুধগুলো বাজারজাত করার পথ সুপ্রশস্ত হবে।
বিএপিআই বলেছে,দেশে ৯০ শতাংশ এপিআই আমদানি হয়ে থাকে।এই আমদানিকৃত অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য এপিআই শিল্পের উত্তরোত্তর বৃদ্ধিকল্পে এই শুল্কনীতি সাহায্য করবে। একইসঙ্গে দেশেই বহু এপিআই তৈরি হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। ফলে ক্যানসারনিরোধী সমস্ত ওষুধের মূল্যের স্থীতিশীলতা দাঁড়াবে এবং প্রাপ্যতা বাড়বে।সাধারণ জনগণের জন্য উচ্চ প্রযুক্তি ও মানের ওষুধ সবসময় প্রাপ্তির বিপুল নিশ্চয়তা দেশেই তৈরি হবে।আমরা আশা করি ওষুধ শিল্প শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণই নয়,আরও কিছু প্রণোদনা পেলে অন্যতম রফতানি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
রেফারেল হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি ৫০ শয্যার বেশি সব হাসপাতাল স্থাপনের জন্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক ও কর হ্রাসের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ওষুধ শিল্প সমিতি জানায়,চিকিৎসা ব্যবস্থায় উপরোক্ত সুযোগটি সম্প্রসারণ করায় দেশের রোগীদের অনেক উপকার হবে।এ ছাড়া এবারের বাজেটে সাধারণ ও আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ হাইব্রিড ও ইলেকট্রিক ভেহিক্যালকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে,যা জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিটিউক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা এবং চূড়ান্ত বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বিএপিআই:
• সর্বশেষ অর্থবছরে ননলিস্টেড কোম্পানিগুলোর জন্য সর্বনিম্ন ট্যাক্সের হার ছিল ২৫ শতাংশ,যা এই বাজেটে বৃদ্ধি করে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে।করপোরেট ট্যাক্সের হারের এই বৃদ্ধি ননলিস্টেড ফার্মা কোম্পানির ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা তৈরি করবে।এমতাবস্থায় করপোরেট ট্যাক্সের হার ২৫ শতাংশ রাখার জন্য আবেদন করা যাচ্ছে।
• প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ে ট্যাক্স ফ্রি লিমিট বাড়ানো হয়নি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে শর্ত পরিবর্তনের কারণে শিল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্যাক্স বৃদ্ধি পাবে।এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রকৃত আয় কমে যাবে। বিষয়টি বিবেচনা করার আবেদন করা গেল।
• সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে কোম্পানিগুলোর জন্য ন্যূনতম করপোরেট ট্যাক্সের পরিমাণ মোট বিক্রয় আয়ের ওপর ১ শতাংশ নির্ধারণ করেছে,যা পূর্বে ০.৬ শতাংশ ছিল।মুনাফা না করলে এই ট্যাক্স কোম্পানিগুলোকে তাদের মূলধন থেকে প্রদান করতে হবে- যা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে ন্যূনতম ট্যাক্সের হার পূর্বের জায়গায় রাখার অনুরোধ করা হলো।











