শিক্ষা

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি

  প্রতিনিধি ৮ মার্চ ২০২৩ , ৪:৪১:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থানরত শিক্ষকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।দাবি আদায়ে তারা আগামী ১৫ মার্চ থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবেন।১২ ও ১৩ মার্চ সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে।আর ৯ থেকে ১৪ মার্চ সরকারিকরণের দাবিতে শিক্ষকরা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করবেন।সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল-সন্ধ্যা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।

বুধবার এ কর্মসূচির ১৩তম দিনে আমরণ অনশন,প্রতীকী অনশন ও কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট নামের একটি মোর্চার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তারা এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারিকরণ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

মহাজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দিন নতুন কর্মসূচি ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন,আগামী ১৫ মার্চ থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।১২ ও ১৩ মার্চ সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে। আর ৯ থেকে ১৪ মার্চ সরকারিকরণের দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।প্রতীকী অনশন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি আমরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পালন করা হবে। ১৫ মার্চ থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি চলবে।

অবস্থানরত শিক্ষকরা বলছেন,স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।পাঠ্যক্রম সিলেবাস,আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।

অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতা পান ২৫ শতাংশ।অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই।সব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি করা হলে এ বৈষম্য নিরসন হবে বলে দাবি শিক্ষকদের।তাই শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়, জমানো টাকা সরকারি কোষাগারে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবি জানাচ্ছেন।

আরও খবর

Sponsered content