অপরাধ-আইন-আদালত

এনবিআর চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ

  প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২৪ , ২:২০:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

0Shares

নিজস্ব প্রতিবেদক।।হাইকোর্টের রায় ও আদেশ প্রতিপালন না করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে আবু হেনা মোস্তফা মো. রহমাতু্ল মুনিমকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) ই-মেইলে মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষে এই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ম্মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) ও ব্যারিস্টার মো. কাউছার।

নোটিশে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ করে বলা হয়, আপনি সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ পেয়েছেন এবং আদালতের আদেশ সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত।আদালতের আদেশ মেনে চলতে আপনি বাধ্য।কিন্তু এখনও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ আমলে নেননি। ষআদালতের আদেশ গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছেন।দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা এবং অবমাননার জন্য আপনাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।

তাই আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ে দেওয়া নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলা করা হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ম্মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব) নোটিশের বিষয়ে বলেন,২০২০ সালের ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট তার রায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর গুগল,ফেসবুক,ইউটিউব,ইয়াহু,আমাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন,ডোমেইন বিক্রি,লাইসেন্স ফিসহ সব রকমের লেনদেন থেকে মূসক,টার্নওভার কর ও সম্পূরক শুল্ক,ধারা ১৫ এর অধীন আরোপিত মূল্য সংযোজন কর এবং আয়কর প্রদানসহ সব ধরনের বকেয়া রাজস্ব আদায়ের বিবরণী হলফনামা আকারে হাইকোর্টে দাখিল করার নির্দেশ দেন।কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালন করেনি যা আদালত অবমাননার শামিল।ফলে রায় প্রতিপালন না করায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা মো. রহমাতু্ল মুনিমকে ই-মেইলে আদালত অবমাননার অভিযোগে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির (পল্লব), ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউসারসহ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী জনস্বার্থে ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট দায়ের করেন। রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব,বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর,জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান,গুগল,ফেইসবুক,ইয়াহুসহ মোট ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করা হয়।

পরে ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক,এনবিআরসহ সব বিবাদীকে গুগল,ফেসবুক,অ্যামাজনসহ সব অনলাইন কোম্পানির কাছ থেকে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ট্যাক্স ও ভ্যাট আদায়ের নির্দেশ দেন।অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পর বেশ কিছু অনলাইন কোম্পানি বাংলাদেশ ভ্যাট দেওয়া শুরু করে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে কিছু নির্দেশনাসহ রায় ঘোষণা করেন আদালত।

0Shares

আরও খবর

Sponsered content

0 Shares