অপরাধ-আইন-আদালত

এনবিআর ও সওজের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০২৪ , ৬:৪০:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সহকারী পরিচালক বদরুন নাহারের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।একই দিন তার স্বামী সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করেছে দুদক।

সোমবার (১ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলা দুটি করেন।

তাদের দুই জনের নামে সাত কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পেয়েছে দুদক।এছাড়া বদরুন নাহার ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার সম্পদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।তাদের ছেলে আসিফ মাহমুদ ওরফে আসিফ হাসানের মালিকানাধীন গ্লোবাল কনসেপ্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানও পাওয়া গেছে।

এজাহারে বলা হয়েছে,তদন্তকালে তাদের ছেলে আসিফ মাহমুদ ওরফে আসিফ হাসানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল কনসেপ্টে তাদের দুজনের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি না,সেটাও তদন্ত করা হবে।তখন অন্য কারও কিংবা অন্য কোনো সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলে সেটাও অভিযোগপত্রে যুক্ত করা হবে।

এনবিআরের গবেষণা ও পরিসংখ্যান উইংয়ের সাবেক এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও এক কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার সম্পদের মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, বদরুন নাহারের সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির পর তিনি ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।

যাচাই ও অনুসন্ধানে দেখা যায়,সম্পদ বিবরণীতে তিনি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন; যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।তিনি তার সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৩ টাকার সম্পদের ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৬ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখে দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

তার স্বামী কবির আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলায় এক কোটি আট লাখ ৯০ হাজার ৭২৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়,কবির আহমেদের ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।যাচাই ও অনুসন্ধানে দেখা যায়,তার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তিনি জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি আট লাখ ৯০ হাজার ৭২৮ টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content