সারাদেশ

এক বছর ধরে বিদ্যুৎহীন ফ্ল্যাটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন-ব্যারিস্টার,সাদিয়া আরমান

  প্রতিনিধি ১৬ জুন ২০২৪ , ৬:৫১:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান থাকেন পুরান ঢাকার ইসলামবাগ এলাকার খাজে দেওয়ান লেনের ফকির চান অ্যাপার্টমেন্টে।সেখানে তাঁর মালিকানাধীন ই-৪ নম্বর ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ সংযোগ গত বছরের ১৪ মে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।তাঁর অভিযোগ,ভবনের দুই বাসিন্দা জোর করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।ফলে এক বছর ধরে বিদ্যুৎহীন ফ্ল্যাটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই আইনজীবী।এ ঘটনায় গত ২৪ এপ্রিল চকবাজার থানায় জিডি করেছেন তিনি।

ভুক্তভোগী জিডিতে উল্লেখ করেন,গত বছরের ৬ মে ভবনের ফ্ল্যাট মালিকদের আহ্বায়ক কমিটির নামে একটি সভা ডাকা হয়।সেখানে ভবনের বাসিন্দা আলি আহমেদ কমিটির সদস্য না হয়েও সভা পরিচালনা করেন।হিসাবের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না দেখিয়ে তিনি দাবি করেন বর্ধিত সার্ভিস চার্জ,মাদার মিটার ও অন্যান্য খরচ।এসব বিল না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।পরে তাকে অপমানসূচক কথা বলে মতামত ব্যক্তের সুযোগ না দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন। ১৪ মে তাঁর অনুপস্থিতিতে আলি আহমেদ ছোট ভাই দিলু আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।এরপর অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ না দেওয়ায় তিনি পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।

সাদিয়া আরমান বলেন,২০২২ সালের জুলাই মাসে ছাদ থেকে ফেলে প্রাণনাশের হুমকি দেন আলি।এ ছাড়া ভবনের ছাদকে কমিউনিটি সেন্টারে রূপান্তর করে আমোদ-প্রমোদ, খেলাধুলাসহ বহিরাগতদের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।এটি ভবনের বাসিন্দাদের জন্য নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি করতে পারে।শব্দদূষণসহ এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বলায় আলি গত বছরের ২৭ মার্চ আমার মানহানিকর ভিডিও তৈরি করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।এরপর ৮ এপ্রিল আলি এসে আবারও বাসার পানি ও গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন।

এক বছর ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ফ্ল্যাটে থাকতে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন জানিয়ে সাদিয়া বলেন,এই গরমে বাসায় ফ্যান ব্যবহার করতে পারি না।তাই চকবাজার থানায় জিডি করেছি।এর আগে আদালতে মামলা করেও প্রতিকার পাইনি।

অভিযুক্ত আলি আহমেদ বলেন,২০১২ সাল থেকে ওই ফ্ল্যাটের মালিক সাদিয়া আরমান ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ দেন না। তাঁর কাছে পৌনে তিন লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।কিন্তু তিনি ব্যারিস্টার,সেই ক্ষমতা দেখিয়ে টাকা দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন।আবার বিভিন্ন সময় মামলা ও জিডি করে হয়রানির চেষ্টা চালান।ভবনের মালিক ৩৪ জনের মধ্যে ৩০ জনই তাঁর বিপক্ষে।এতদিন ধরে ভবনের খরচ না দিলে তা কে বহন করবে?

আরও খবর

Sponsered content