আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনকে পশ্চিমা দেশগুলো ট্যাংক দেবার ঘোষণার পর থেকে উদ্বিগ্ন

  প্রতিনিধি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৩:১৯:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ ১১ মাস পেরিয়ে গেছে।এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই।উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত আরও বেড়েছে। এদিকে যুদ্ধে ইউক্রেনকে ট্যাংক দিয়ে সাহায্য করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ন্যাটোর জোটের কাছে শুধু ট্যাংক নয়,যুদ্ধবিমানও চাইছেন। তবে এখনো কোনো দেশই তা দেওয়ার স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,রাশিয়ারও অনেক ট্যাংক আছে।তারা কি ইউক্রেনের এসব ট্যাংক মোকাবিলা করতে পারবে কি না?বিশ্লেষকরা বলছেন,রুশ সশস্ত্র বাহিনীর হাতে হাজার হাজার ট্যাংক থাকলেও ন্যাটো জোটের কাছ থেকে ইউক্রেন যেসব ট্যাংক পাবে-তা বেশি দ্রুতগামী ও উন্নত।

রুশ বিষয়ক বিশ্লেষক স্টেফেন ডিয়েল বলছেন,এটা ঠিক যে কোন ট্যাংকই পুরোপুরি দুর্ভেদ্য নয় তবে রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক ট্যাংক টি-১৪এর চাইতেও ন্যাটো জোটের ট্যাংকগুলো উন্নত।

এর আগে ইতোমধ্যে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন,অন্যসব ট্যাংকের মত এগুলোও আগুনে পুড়বে। তার কথায়,ইউক্রেনকে ন্যাটোর ট্যাংক দেয়াটা এক ‘ব্যর্থ পরিকল্পনা’ এবং এতে কিয়েভের বাহিনী কত সুবিধা পাবে তা বাড়িয়ে বলা হচ্ছে।

কিন্তু বিশ্লেষক স্টিফেন ডিয়েল বলছেন,ইউক্রেনকে পশ্চিমা দেশগুলো ট্যাংক দেবার ঘোষণার পর থেকে রুশ পক্ষে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

‘রুশ টিভি চ্যানেলগুলোতে ‘রাশিয়া কত শক্তিশালী’ তা তুলে ধরে যেসব প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানগুলো হয়–সেগুলোর সুর এখন বদলে গেছে।রাশিয়া যদিও মুখে বলছে যে এসব ট্যাংক তারা ধ্বংস করে দেবে,কিন্তু আসলে তাদের মধ্যে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা যাচ্ছে’ বলছেন তিনি।

আরও এক প্রশ্ন হচ্ছে,ইউক্রেন এখন পর্যন্ত ন্যাটোর কাছ থেকে শ’খানেক ট্যাংক পাবে বলে বলা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content