সারাদেশ

আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রায় পিকআপ ভ্যানে এএসপি-ইউএনও সহ সরকারি কর্মকর্তারা

  প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৭:০৭:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গত বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রার পিকআপ ভ্যানে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গত বুধবার বিকেলে শোভাযাত্রা বের করেন আওয়ামী লীগ এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী। আওয়ামী লীগের এই শোভাযাত্রায় থাকা একটি পিকআপ ভ্যানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। তবে তাঁরা দাবি করেছেন, দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেননি। আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কর্মসূচি থাকায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি পিকআপে একসঙ্গে ছিলেন।

গত বুধবার বিকেল চারটার দিকে পটিয়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে সেটি বাসস্টেশনে এসে শেষ হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে আবারও ক্ষমতায় আসেন সে জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান শোভাযাত্রায় ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন নেতা-কর্মীরা। শোভাযাত্রার প্রথমে থাকা পিকআপ ভ্যানে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। দ্বিতীয় পিকআপটিতে ছিলেন ইউএনও মোহাম্মদ আতিকুল মামুন, পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম। সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারী পিকআপটিতে পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ব্যানারও ছিল। ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছবি দেখা যায়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা শেষ হলে পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ থেকে আরেকটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এটির নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম।

সরকারি কর্মকর্তা হয়ে দলীয় কর্মসূচিতে কেন? সে প্রশ্নের জবাবে ইউএনও মোহাম্মদ আতিকুল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার একই সময়ে একই এলাকায় দুটি পক্ষ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। দুই পক্ষই মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। কোনো ধরনের সংঘাত যাতে না ঘটে সে জন্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে একটি পিকআপে চড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কোনোভাবে দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন না।

পিকআপে থাকা আরেক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগে বিভক্তি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে দুই পক্ষই একই সময়ে একই এলাকায় কর্মসূচির ডাক দেয়। এতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান বলেন, দুই পক্ষের কর্মসূচির কারণে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দুই পক্ষের সংঘাত এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। আর তাঁরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মাঠে ছিলেন।

জানতে চাইলে টিআইবি-সনাক চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি আখতার কবির চৌধুরী বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনোভাবে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া উচিত নয়। তাঁরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে জনকল্যাণে কাজ করবেন, কোনো দলের জন্য নয়।

আরও খবর

Sponsered content