অপরাধ-আইন-আদালত

আইনের উর্ধ্বে কেউ নয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন হুমায়ুন কবির

  প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২২ , ৩:৪৮:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-আইনের চোখে সবাই সমান দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বিচারক হুমায়ুন কবির।আইনের রক্ষক এবার হলেন ভক্ষক আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চাইলেন ওসি কেন।

একটি চেক জালিয়াতির মামলায় ওয়ারেন্ট তামিল না করায় আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) এমরান হোসেন।

পরে আদালত ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড না করার জন্য সতর্ক করে ক্ষমা করেন ওসি এমরান হোসেনকে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে ওয়ারেন্ট তামিল না করার কারন ও তার অগ্রগতি তুলে ধরেন ওসি।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন বিচারক, মো.হুমায়ুন কবীর আদালত পরিচালনা করেন।এর আগে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবীরের আদালত চেক জালিয়াতির একটি মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করে।

পরে দীর্ঘ পাঁচ মাসে চারটি ওয়ারেন্টের তারিখ অতিবাহিত হলেও ওয়ারেন্ট তামিল না করায় আদালত ওসি এমরান হোসেনকে আদালতে হাজির হয়ে কারন দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করে।

এতে আদালতের আদেশ পাওয়ার পর চন্দ্রিমা থানার ওসি আদালতে স’শরীরে উপস্থিত হয়ে ওয়ারেন্টের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন ওসি এমরান হোসেন।

এসময় আদালত ওসিকে সতর্ক করে ক্ষমা করেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করার জন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন,সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবীর।

জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২০২১ সালের ১৯ জুলাই একটি চেক জালিয়াতির মামলা হয়। পরে আদালত চলতি বছরের ০৮ ফেব্রুয়ারী আসামীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর আদেশ দেয়।

যা ০৯ ফেব্রুয়ারী ইস্যু করা হয়। ওয়ারেন্ট ইস্যুর পর চারটি ধার্য তারিখ বা ০৫ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলার ওয়ারেন্ট অনুয়ায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।এমনকি কি কারনে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি,তাও আদালতের নিকট ব্যাখা করেনি ওসি। যা আদালত অবমাননার শামিল হিসেবে গণ্য করে আদালত।

এরই প্রেক্ষিতে কেন ওসির বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ পালন না করার জন্য বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, মর্মে স্বশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য ওসিকে নির্দেশ প্রদান করে আদালত।

এবিষয়ে চন্দ্রিমা থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) এমরান হোসেন মুঠোফোনে বলেন,আদালতের নির্দেশে স্বশরীরে হাজির হয়ে ওয়ারেন্ট হওয়া মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেছি। পরবর্তীতে মামলাটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content