প্রতিনিধি ২৬ আগস্ট ২০২২ , ১০:০০:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:-রাজশাহীতে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে চাল, আটা ও তেলের দাম। এছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানে খাশির মাংস কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা।
শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) রাজশাহীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে চাল, ও আটা কেজিতে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সপ্তাহে আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা কেজি যা গত দুই সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৫৭ টাকায়।
গত দুই সপ্তাহ আগে মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৬৩ টাকা যা এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা, গত সপ্তাহের থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে গুটি স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা এবং ৫ টাকা বেড়ে আউশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজিতে।
চাল কিনতে আসা গৃহিণী আফরোজা বানু জানান, প্রতিনিয়ত চালের দাম বাড়তেই আছে আমরা গরিব মানুষ এভাবে চাউলের দাম বাড়লে কেমন করে সংসার চালাব। আমার মতো যাদের বড় সংসার আর আয়ের মানুষ একজন আমরা তারা চালের দাম বৃদ্ধির কারণে খুব কষ্টে জীবন-যাপন করছি।
চাল ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারনে, আমদানিও কমে গেছে ।তাই চালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে চাউলের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আঠালো চালের দাম। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়, আর ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা লিটার।
এ সপ্তাহে গরুর মাংশের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে খাশির মাংশের দাম। ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে খাশির মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজিতে।
এছাড়া এ সপ্তাহে কিছু মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বৃদ্ধি পেয়েছে রুই, সিলভার, মিরকা ও কাতল মাছের। বড় ইলিশ গত সপ্তাহের চেয়ে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ টাকা কেজিতে, ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা।
গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বেশিতে সিলভার মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা, কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে মিরকা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা ও ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে।
মাছ ক্রেতা মামুন জানান, প্রতি সপ্তাহে মাছ কিনতে আসলে দেখছি মাছের দাম কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বৃদ্ধি।এভাবে যদি প্রতি সপ্তাহে মাছের দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষ মাংশের মতো মাছ ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।