প্রতিনিধি ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৯:৩১:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট এখন যেন একটি বড় নাটকের মঞ্চ।টেলিভিশনের টকশোতে বিএনপি, জামায়াত,এনসিপি এবং গণ অধিকার পরিষদ—সবই নিজেদের আলাদা পরিচয় দেখাচ্ছে।তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,আলাদা চেহারা কেবল পর্দার ভাঁজ।বাস্তবে এই দলগুলোর মধ্যে স্বার্থের মিল বা সমন্বয়ের ছায়া শক্তিশালী।

নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কৌশল,ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা,এবং সমন্বিত প্রচারণা—সবই প্রশ্ন তোলে:ভোট কি সত্যিই জনগণের,নাকি আগেভাগেই সাজানো? টকশো এবং গণমাধ্যমের “বিরোধিতা” দেখানো হচ্ছে,কিন্তু বাস্তব রাজনৈতিক মাঠে বিষয়গুলো অন্যরকম। সাধারণ মানুষের সামনে প্রকাশ্য বিরোধিতা হলেও,পারদর্শী দলীয় সমন্বয় নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে।
গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশ্ন: সাধারণ মানুষ কি কেবল দর্শক হয়ে থাকবে?বিশেষজ্ঞরা মনে করেন,জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া রাজনৈতিক নাটক এবং ভোট প্রক্রিয়া সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক হতে পারবে না।ভোটারদের সচেতনতা,তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত এবং স্থানীয়-জাতীয় পর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা ছাড়া,ভোটকে শুধুমাত্র সাজানো ইভেন্টে পরিণত করা সম্ভব।
অতএব,নির্বাচন কেবল একটি পারফরম্যান্স নয়—এটি জনগণের সচেতনতা ও অংশগ্রহণের আঞ্চলিক পরীক্ষা। জনগণ যদি সঠিক সময়ে প্রশ্ন তোলে এবং তাদের ভোটের শক্তি কাজে লাগায়,তবেই রাজনৈতিক “নাটক” ভেঙে গোপন সমন্বয় প্রকাশ পেতে বাধ্য হবে।









