প্রতিনিধি ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৮:০২:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফের বড় ধরনের পুনর্বিন্যাসের আভাস মিলছে।বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট থেকে সরে এসে জামায়াতে ইসলামে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম—এমন আলোচনা রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।

দলীয় ও ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সূত্রগুলো দাবি করছে,আজ ২৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বা ইঙ্গিতপূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে।যদিও এখনো পর্যন্ত কর্নেল অলি আহমদ কিংবা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো নিশ্চিত বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত?
বিশ্লেষকদের মতে,কর্নেল অলি আহমদের রাজনৈতিক অবস্থান বরাবরই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।তিনি একদিকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা,অন্যদিকে বিএনপি-জোট রাজনীতির দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ।তাঁর অবস্থান পরিবর্তন—
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে ভাঙনের বার্তা দিতে পারে
জামায়াতের রাজনৈতিক পুনর্গঠনে নতুন শক্তি যোগ করতে পারে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও বিরোধী রাজনীতির কৌশলে নতুন হিসাব-নিকাশ তৈরি করতে পারে
বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কের নতুন অধ্যায়?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে,বিএনপি ও জামায়াতের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে দৃশ্যত ‘কৌশলগত দূরত্বে’ রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে কর্নেল অলি আহমদের মতো একজন নেতার জামায়াতে যোগদান হলে তা শুধু ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়,বরং বৃহত্তর রাজনৈতিক বার্তার ইঙ্গিত হিসেবেও দেখা হবে।
এলডিপির ভেতরের হিসাব-নিকাশ
এলডিপির ভেতরেও এ নিয়ে আলোচনা ও দ্বিধা রয়েছে বলে জানা গেছে।দলটির একাধিক নেতা মনে করছেন,এই সিদ্ধান্ত এলডিপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক অবস্থানকে আমূল বদলে দিতে পারে—হোক তা ইতিবাচক কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ।
অপেক্ষা আনুষ্ঠানিক ঘোষণার
সব আলোচনা,জল্পনা ও রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের মাঝেও বাস্তবতা হলো—চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা এখনো বাকি। আজকের দিনটি তাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরেকটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
👉 ঘোষণা এলে বা অবস্থান স্পষ্ট হলে বিস্তারিত আপডেট আসবে।










