রাজনীতি

ঢাবির ছাত্রী সংস্থা: জামাত শিবিরের ছাত্রীদের শোষণের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

  প্রতিনিধি ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ , ১২:৫৫:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী সংস্থা নেত্রী আয়েশা আক্তার সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন,যেখানে তিনি জানান,বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সংস্থা মূলত জামাত শিবিরের নেতাদের শারীরিক চাহিদা মেটানো এবং সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।

আয়েশা আক্তার জানান,তিনি সহ বিভিন্ন শিক্ষার্থী মানারাত ইউনিভার্সিটির ইশরাত জাহান মৌসুমীর মাধ্যমে রওশন আরা ও স্বপ্না নামে নেত্রীর সঙ্গে পরিচিত হন।স্বপ্না আপা তাকে অন্যান্য ছাত্রীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন,যেমন:

নাজিয়া,জুলেখা ও নাহিদা আক্তার রুবি – সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী

ফারজানা রহমান – আইন বিভাগ

তানজিনা আক্তার – প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ

অ্যানতিন – ইসলামের ইতিহাস বিভাগ

আফসানা আক্তার আঁখি – সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

প্রাথমিকভাবে ব্লাড ব্যাংক ও গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়।পরে তারা ‘এয়ানত’ নামে অর্থ সংগ্রহের কাজেও যুক্ত হন,যেখানে সংগৃহীত টাকার ২০% কমিশন দেওয়া হতো।

ফেসবুক ও প্রচারণা কার্যক্রম

আয়েশা আক্তার জানান,ফেসবুক পেইজ ও আইডির মাধ্যমে জামাত শিবিরের প্রচারণা চালানো হত,এবং মাসে নির্দিষ্ট টাকা দেওয়া হতো।উল্লেখযোগ্যভাবে,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের:

পারভীন আক্তার – ইসলামের ইতিহাস

জারিন তাসনিম – রাষ্ট্রবিজ্ঞান

মরিয়ম জামিয়া তামান্না – আরবি

মাসের সেরা প্রচারকারী হিসেবে ৭০,০০০ টাকা পেতেন।তবে এই টাকা সংগ্রহ করতে হত জামাত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদের বাসা থেকে।

মুতা বিবাহ ও নারী শোষণ

আয়েশা আক্তারের কথায়,জামাত শিবিরের নেতারা চাইলে নারীদের শরীর ব্যবহার করতে পারত।শিখিয়েছিল,যদি নারীর দ্বিধা থাকে,কলেমা পড়ে রাতের জন্য মুতা বিবাহ করা যায় এবং সকালে তালাক দেওয়া হয়।

প্রধানভাবে ছাত্রী সংস্থা কার্যক্রম ছিল:

নারীদের জামাত শিবির নেতাদের কাছে পাঠানো,বিশেষভাবে সুন্দরী শিক্ষার্থীরা।

স্কুলে গার্ডিয়ান সেজে অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করা, যেখানে সরকার বিরোধী ও ভয়ঙ্কর তথ্য প্রচার করা হত।

দৈনিক কার্যক্রম সূচি অনুযায়ী নারীদের শারীরিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা।

আয়েশা আক্তার জানান,এতে জামাত শিবিরের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণ হত,আর শিক্ষার্থীরা বিপন্ন অবস্থায় থাকতেন।

আইনি ও ধর্মীয় বিশ্লেষণ

বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী,এমন কর্মকাণ্ড ধারা ৩৭৫ দণ্ডবিধি,২০০০ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য।

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে,নারীর মর্যাদা ও সতীত্ব রক্ষা করা অত্যাবশ্যক। মুতা বিবাহ মূলধারায় হারাম হিসেবে বিবেচিত।

কোরআন (সূরা নূর ২৪:৩) স্পষ্টভাবে বলে,নারীর সতীত্ব ও মর্যাদা রক্ষা করা ইসলামী আদর্শ।

পুলিশি অভিযান ও ফলাফল

১৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে কদমতলী,ঢাকা-তে এক বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে পতিতাবৃত্তি ও মাদকের অভিযোগে গ্রেফতার করে।আয়েশা আক্তার উল্লেখ করেন, এটি তার জন্য মহান আল্লাহর রহমত,কারণ সে নিজেকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন।

উপসংহার ও সতর্কতা

আয়েশা আক্তারের এই স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সংস্থা ও জামাত শিবির শিক্ষার্থী নারীদের শারীরিক,সামাজিক ও মানসিকভাবে শোষণ করেছে।

তিনি সকল নারী শিক্ষার্থীকে সতর্ক করে বলেছেন:

> “আপনারা ছাত্রী সংস্থা নামের কুফুরি সংগঠন থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।মওদুদী দাজ্জাল ও জামায়াতে ইসলামী ফেতনা।”

বিশ্লেষকরা মনে করেন,প্রশাসন,আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে যৌথভাবে এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।

আরও খবর

Sponsered content