জাতীয়

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে লুটপাট–ভাঙচুর–অগ্নিসংযোগঃ-নেপথ্যে শিবির তদন্ত শুরু

  প্রতিনিধি ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৮:১১:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংঘটিত লুটপাট,ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের শিক্ষার্থী,শহিদুল্লাহ হল সংসদের সাহিত্য সম্পাদক ও ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা আসরাফুল ইসলামের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে,প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এবং ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজনের শনাক্তকরণ তথ্যের ভিত্তিতে আসরাফুল ইসলামের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।অভিযোগ রয়েছে,হামলার সময় একটি সংঘবদ্ধ দলকে সংগঠিত করা,দিকনির্দেশনা দেওয়া এবং উসকানিমূলক ভূমিকা পালনে তিনি সক্রিয় ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,হামলার সময় কয়েকজনকে স্পষ্টভাবে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হামলাকারীদের মধ্যে সমন্বয় ও নির্দেশনামূলক আচরণ লক্ষ্য করা যায়,যা ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে সন্দেহ জোরালো করেছে।

এদিকে,ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এ ঘটনার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।তবে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম বিশ্লেষকদের মতে, কেবল বিবৃতির মাধ্যমে দায় এড়ানো নয়—ঘটনার নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও দ্রুত তদন্ত প্রয়োজন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান,

> “আমরা কাউকে আগেভাগে দোষী বলছি না।তবে যাদের নাম আসছে,তাদের ভূমিকা আলামত ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে যাচাই করা হচ্ছে। প্রমাণ মিললে আইনের আওতায় আনা হবে।”

গণমাধ্যমে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ,সাংবাদিক ইউনিয়ন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাদের মতে,সংবাদমাধ্যমে হামলা সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে স্বীকৃত মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত এবং এটি রাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুতর সতর্কবার্তা।

বিশ্লেষকদের অভিমত,দায়ীদের রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক পরিচয় যাই হোক না কেন,আইনের চোখে সবাই সমান—এই নীতি প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে ভবিষ্যতে গণমাধ্যমের নিরাপত্তা আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে।

আরও খবর

Sponsered content