প্রতিনিধি ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৪:৪১:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
কুয়াকাটা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।বরিশালের কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ১০ বছর বয়সী শিশু মোসাঃ মারজুকা।মাত্র ১১ মাসে পবিত্র কোরআন সম্পূর্ণ মুখস্থ করে হাফেজা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে সে।এই অসাধারণ সাফল্যে পরিবার,শিক্ষক-শিক্ষিকা ও এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছে শিশু মারজুকা।

মারজুকা ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত একটি পরিবারের সন্তান।দুই সন্তানের মধ্যে সে বড়।ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ও মনোযোগী এই শিশুটি ভর্তি হওয়ার পর নাজেরা শেষ করে অল্প সময়ের মধ্যেই হিফজ সম্পন্ন করে সবাইকে চমকে দেয়। বর্তমানে সে কুয়াকাটার আলিপুর আল হুদা মহিলা মাদ্রাসায় কোরআন শুনানি দিচ্ছে।
প্রতিদিন ভোরের সূর্য ওঠার আগেই নামাজ ও তালিমের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আল হুদা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দিন।সাধারণ শিক্ষার্থীদের তুলনায় মারজুকার পড়াশোনার গতি ছিল ব্যতিক্রমী।তার অদম্য মেধা ও অধ্যবসায়ের কারণে প্রতিদিন তাকে অতিরিক্ত মুখস্থ পড়া দেওয়া হতো,যা সে সহজেই আয়ত্ত করে ফেলত।
চলতি বছর মাদ্রাসা থেকে মোট দশজন শিক্ষার্থী হাফেজা হিসেবে বিদায় নিয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী হওয়ায় মারজুকা বিশেষভাবে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।বিদায় সংবর্ধনায় তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে আবেগঘন অনুভূতি প্রকাশ করেন শিক্ষক ও পরিবার-পরিজনেরা।
শিশু মারজুকার বাবা হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,“আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই মেধাবী।ইনশাল্লাহ আমি চাই,সে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষের মাঝে দ্বীনি জ্ঞান ছড়িয়ে দিক এবং কোরআনের আলো পৌঁছে দিক।”
নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়ে মারজুকা বলে,“আমি বড় হয়ে আলেমা হতে চাই এবং ইসলামের শিক্ষা মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে চাই।”
আল হুদা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক বশির আহমেদ বলেন,
“আলহামদুলিল্লাহ,মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে মারজুকাই আমাদের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রী।ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তার মুখস্থ করার অসাধারণ ক্ষমতা আমাদের মুগ্ধ করেছে।আমরা তার জন্য দোয়া করি—সে যেন একজন আদর্শ হাফেজা হয়ে বিশ্বজয় করতে পারে।”
মাত্র ১০ বছর বয়সে ১১ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্থকারী এই ক্ষুদে হাফেজা ভবিষ্যতে দ্বীনি এলেম অর্জনের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের অসহায় মানুষের মাঝে আল কোরআনের বাণী ছড়িয়ে দিতে চায়।তার এই মহৎ প্রত্যাশা পূরণে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে মারজুকার পরিবার।











