প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ , ২:০৯:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।২০০১-২০০৭: বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তারেক রহমান দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থিত হন।এই সময়ে প্রথম আলো বিভিন্ন অনুসন্ধানী রিপোর্ট ও হেডলাইন প্রকাশ করে তার কর্মকাণ্ড,ব্যবসায়িক প্রভাব এবং রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে।

১. ব্যাংক লেনদেন ও আর্থিক প্রভাব
তারিখ: ২৭ মার্চ ২০০২
স্থান: ঢাকা
হেডলাইন: “ব্যাংক লেনদেনে তারেক রহমানের প্রভাব: অনুসন্ধান শুরু”
সংবাদ: রাজধানী ঢাকায় ব্যাংকিং খাতের লেনদেনে তারেক রহমান ও পরিবারের প্রভাব নিয়ে সরকারী অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।বিশেষত,লোন প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম এবং শেয়ার বাজারে প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
সোমবার প্রকাশিত প্রথম আলোর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,“এই প্রভাব কেবল ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়; রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তেও প্রভাব বিস্তার করা হয়েছে।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,এ ধরনের অনিয়ম অব্যাহত থাকলে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
২. সরকারি জমি দখল সংক্রান্ত বিতর্ক
তারিখ: ১৫ জুলাই ২০০৩
স্থান: ঢাকা
হেডলাইন: “রাজধানীতে সরকারি জমি দখল: তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠরা অভিযুক্ত”
সংবাদ: রাজধানীর সরকারি জমি ও বাসস্থান প্রকল্পে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে এসেছে।সরকারি দলিল অনুযায়ী অনিয়মভাবে কিছু জমি দখল করা হয়েছে।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উল্লেখ, “জমি সংক্রান্ত এই কেলেঙ্কারিতে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল উল্লেখযোগ্য।স্থানীয় প্রশাসন যথাযথ তদারকি করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
নাগরিক অধিকার রক্ষাকারী সংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে যে এই ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের ন্যায়বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে।
৩. দলের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ
তারিখ: ৯ নভেম্বর ২০০৩
স্থান: ঢাকা
হেডলাইন: “দলের অভ্যন্তরীণ শক্তি নিয়ন্ত্রণে তারেক রহমান”
সংবাদ: বিএনপির অভ্যন্তরীণ স্থায়ী কমিটি এবং যুব সংগঠন নিয়ন্ত্রণে তারেক রহমানের প্রভাব লক্ষ্যণীয়।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন,দলের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ায় তারেক রহমানের পদ ও প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে একটি বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, “দলের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ কেবল ক্ষমতার ব্যবহার নয়; এটি রাজনৈতিক দিকনির্দেশনাতেও প্রভাব ফেলে।”
৪. মামলা ও শেয়ার বাজারে অনিয়ম
তারিখ: ২২ মে ২০০৪
স্থান: ঢাকা
হেডলাইন: “দুর্নীতি ও শেয়ার বাজারে অনিয়ম: মামলা তদন্তাধীন”
সংবাদ: তারেক রহমান এবং পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যাংকিং ও ব্যবসায়িক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা আদালতে তদন্তাধীন। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,“প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াই বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা যাচাই করা হচ্ছে।”
আইন বিশ্লেষকরা মনে করছেন,মামলার ফলাফলের প্রভাব দেশের করপোরেট ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।
৫. নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব
তারিখ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৫
স্থান: ঢাকা
হেডলাইন: “নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব: রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক”
সংবাদ: নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তারেক রহমানের রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে সমালোচনা বেড়েছে।বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে ক্ষমতার অতিরিক্ত ব্যবহার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “এই প্রভাব শুধুমাত্র ভোটের মাঠে নয়,রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।”
৬. নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন ও সমালোচনা
তারিখ: ৫ মার্চ ২০০৬
স্থান: ঢাকা
হেডলাইন: “অপারগতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার: নাগরিক অধিকার আন্দোলন”
সংবাদ: নাগরিক অধিকার রক্ষাকারী সংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে যে তারেক রহমানের রাজনৈতিক প্রভাব দেশের প্রশাসন এবং বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে একজন নাগরিক অধিকার কর্মী বলেন, “ক্ষমতার অপব্যবহার সাধারণ নাগরিকদের মৌলিক অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলছে।”
৭. সমালোচনা ও স্বচ্ছতা প্রশ্ন
তারিখ: ২০ ডিসেম্বর ২০০৬
স্থান: ঢাকা
হেডলাইন: “সংবাদপত্রে সমালোচনা: অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রশ্ন”
সংবাদ: প্রথম আলো অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তারেক রহমান ও পরিবারের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এতে বিশেষভাবে তাদের ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক প্রভাবের দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
এক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, “রাজনৈতিক পরিচয় ও ক্ষমতার ব্যবহার স্বচ্ছতার চেয়ে প্রভাবকে প্রাধান্য দিচ্ছে, যা দেশের জন্য উদ্বেগজনক।”
✅ সারসংক্ষেপ:
২০০১–২০০৭ সালের সময়ে তারেক রহমানকে প্রথম আলো অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাবশালী, বিতর্কিত ও কার্যক্রমে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে দেখিয়েছে। হেডলাইনগুলোতে ব্যাংকিং কেলেঙ্কারি,জমি দখল,দলীয় নিয়ন্ত্রণ,নির্বাচনী প্রভাব ও নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন—সবই প্রধান বিষয়।
















