প্রতিনিধি ১ ডিসেম্বর ২০২৫ , ১:২২:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।৫ই আগস্ট (২০২৪ সাল) পুরোটাই ছিল একটি জঙ্গি অভ্যুত্থান।জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর নেতা মাহফুজের সাথে এদের সম্পর্ক,এদের জনসভায় প্রকাশ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মিছিল,জঙ্গি সংগঠন আইসিস ও আইএস এর পতাকা উড়িয়ে মিছিল এসব পূর্বপরিকল্পিত।

২০১৮ সাল থেকেই এই তথাকথিত সমন্বয়করা আন্ডারগ্রাউন্ডে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সাথে সমন্বয় তৈরি করেছিলো।এই সুযোগটা এদের জন্য তৈরি করে দিয়েছিলো বারবার নিষিদ্ধ হওয়া জঙ্গি ও স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন জামায়াত শিবির।এর নেপথ্যে ছিলেন স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের ঠিকাদার জামায়াতের আমীর শফিকুর রহমান চৌধুরী।শফিকুর রহমান চৌধুরী ইউনূসের সাথে শেখ হাসিনা পতনের আমেরিকার ৫ বিলিয়ন ডলার প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন।ইউনূস ও পাকিস্তানি আইএসআই এর সাথে শফিকুর
রহমান অনেকবার বৈঠক করেছেন।ইহুদি জর্জ সোরস,ইউনুস ও হিলারির আমেরিকায় যে বৈঠক হয়েছে সেখানেও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানি আইএসআই এজেন্ট শফিকুর রহমান।

শেখ হাসিনা যখন ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন তখন নাহিদ ও আসিফ কারো জন্মই হয়নি।১৯৯৮ সালে জন্ম নেওয়া নাহিদ ও আসিফের ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল বিএনপি ও জামায়াতের দুঃশাসন বুঝার বয়সও হয়নি।২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন তখন নাহিদ ও আসিফের বয়স হচ্ছে ১১ বছর।২০১৪ সালে শেখ হাসিনা যখন আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন তখন নাহিদ ও আসিফের বয়স হচ্ছে ১৫ বছর।২০১৪ সালে ” নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে একদল স্কুল ছাত্রকে ব্যাগের ভেতর চাপাতি হাতে রাস্তায় আন্দোলনে দেখেছিলেন?২০১৪ সালে একদল কিশোর গ্যাংকে ইট দিয়ে থেঁতলে পুলিশ হত্যা করতে দেখেছিলেন?বাসে পেট্রোল বোমা মেরে নিরীহ মানুষ পোড়াতে দেখেছিলেন?সেই কিশোর গ্যাংয়ের নেতা হচ্ছে এই নাহিদ,আসিফ,সার্জিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।কিশোর গ্যাং বলতে লজ্জা হয় তাই নাম পাল্টে রেখেছে জেনজি।পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই তৈয়বা ও জইশ-ই-মুহাম্মদ স্বশস্ত্র সংগঠন দ্বারা এরা ট্রেনিং প্রাপ্ত।

২০১৯ সালের আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে এই জেনজির প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও ভারত বিরোধী একটা অবস্থান তৈরি করে।২০২৪ সালে শিবির ক্যাডার আবু সাঈদ ও ২০১৯ সালে শিবির ক্যাডার আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড পুরোটাই ছিল মেটিকুলাস ডিজাইনের অংশ।এজন্য ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত করার পাঁচ বিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট “অপারেশন বিডি” এর অংশ হচ্ছে শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডার আবু সাঈদ ও আবরার ফাহাদ।এমনিভাবে নাকে ডলারের গন্ধ থেকেই ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে বারবার নিষিদ্ধ জঙ্গি ও গুপ্ত সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে নাহিদ,আসিফ,সার্জিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।

গুপ্ত জঙ্গি সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির ছাত্রসংজ্ঞের নাম দিয়ে ১৯৭১ সালে ত্রিশলক্ষ শহীদের হত্যায় জড়িত ছিলো।এজন্য এই প্রজন্মের জোকার নাহিদ,আসিফ,সার্জিস আলম ও হাঁস নাথরা কেউ ছাত্রলীগের লুঙ্গির তলায় ঢুকেছে আর কেউ বাম সংগঠনের লুঙ্গির তলায় ঢুকেছে।মূলত ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার পতনে ব্যর্থ হওয়ায় পর থেকেই এরা মুখোশ পরে রাজনীতিতে এসেছে।২০১৭-২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে এরা কখনো বিকাশ নুরুর গণ-অধিকার পরিষদ আর কখনো গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নাম দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে রাজনীতি শুরু করে।

২০১৯ সালে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের জন্য আমেরিকার “অপারেশন বিডি” পরিকল্পনার আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিলো এরা।সম্পূর্ণ মেটিকুলাসলি প্লান করে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ২০২৪ সালের ৫ই আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ২০২৫ সালের ২৫ শে ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর কারাগার থেকে শিবিরের সাবেক ক্যাডার আইনজীবী শিশির মুনীর,তাজুল ইসলাম ও টাকলা ফুয়াদদের পরামর্শে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমিরকে আদালত থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।

২০১৩ সালে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশলক্ষ শহীদের হত্যার জন্য যখন রাজাকার জামায়াত শিবিরের বিচার চলছিলো তখন ধীরে ধীরে জামায়াত শিবির আবার আন্ডারগ্রাউন্ডে ঢুকে যায়।কোমলমতি স্কুলের বাচ্চাদের ধর্মের নামে ভুল বুঝিয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তরুণদের জান্নাতের লোভ দেখিয়ে জামায়াত শিবিরের কিশোর গ্যাংয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।এই স্কুল বাচ্চাদের ব্যাগের মধ্যে চাপাতি ঢুকিয়ে দিয়ে বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যা ও বাসে অগ্নিসংযোগ করে শেখ হাসিনা পতনের বারবার চেষ্টা করা হয়।

অবশেষে বারবার ব্যর্থ হয়ে শিবির তার প্রশিক্ষিত জঙ্গিদের ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন বাম সংগঠনের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে ইউএসএইডের ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রোপাগান্ডা প্রজেক্ট সফল করে ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনাকে দেশছাড়া করে এবং ৩,৫০০ পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং হাজার হাজার বাডিঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে।১৯৭১ সালের ইসলামী ছাত্রসংঘ ওরফে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেই পুরাতন শয়তানের চরিত্র ২০২৪ সালে আবার জাতির সামনে ফিরে এসেছে।

জামায়াত যেমন ৪ লক্ষাধিক নারীকে ধর্ষণের করে এখনও কোরআনের দোহাই দিয়ে বাঁচতে চায় ঠিক তেমনি আসিফ, নাহিদ ও হাসনাতরা সার্জিস আলম দিয়ে নতুন নাটক দল এনসিপি ঘোষণা করেছে।

এরা ভালো করেই জানে এরা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন কোন রাজনৈতিক নেতা হতে পারবে না।গ্রামের মেম্বার নির্বাচন করেও জিতে আসার মত যোগ্যতা এদের নাই।এজন্য সংস্কারের নামে যতদিন এই দেশকে লুটা যায় তার জন্য মেটিকুলাস প্লানের সর্দার ইউনূসকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।

এরা খুব ভালো করেই জানে যদি কোনভাবে তারেক জিয়া দেশে ফিরতে পারে এবং বিএনপি নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে তবে মাফিয়া তারেক এদের কবরের মধ্যেও শান্তি দিবে না।
এজন্য নাহিদের পিএ মাত্র ১০ মাসে ১৫০ কোটি টাকা গায়েব করে দিয়েছে,উপদেষ্টা আসিফের পিএ ৪০০ কোটি টাকা হাওয়া করে দিয়েছে।সার্জিস আলম ও হাসনাত মিলে বন্যা ও জুলাই আগস্ট শহীদের ফান্ড করে শত শত কোটি টাকা গায়েব করে দিয়েছে।এরা যেন বাংলাদেশ ছেড়ে পালাতে না পারে তার জন্য দেশের ১৭.৫ কোটি মানুষ ঐক্যব্দ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে আমাদের উপর অর্পিত নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করতে হবে।


















