ব্যবসা ও বাণিজ্য সংবাদ

৩৮ মণ ওজনের ‘সাদা পাহাড়’ ষাঁড়টি ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি

  প্রতিনিধি ৬ জুন ২০২৫ , ৫:৪০:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি।।আগ্রহী ক্রেতা না পাওয়ায় প্রায় ৩৮ মণ ওজনের ‘সাদা পাহাড়’কে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলেন খামারি প্রশান্ত কুমার দাস।অবশেষে এক প্রবাসীর কাছে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ষাঁড়টি বিক্রি করেছেন।তাঁর দাবি, এতে খরচের অর্ধেক টাকাও পাননি।ষাঁড়টির পেছনে তাঁর ব্যয় হয়েছিল ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা।

আজ শুক্রবার সকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রশান্ত।সাদা পাহাড় নামের গরুটি কোরবানির উদ্দেশ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কিনে নেন কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার বাসিন্দা ও সৌদিপ্রবাসী আনোয়ার খান নামের এক ব্যক্তি।

রাজবাড়ীর পাংশার প্রশান্ত কুমার দাসের খামারে ১ হাজার ৪৭০ কেজি ওজনের বিশাল এই ষাঁড়টির নাম প্রিন্স বা সাদা পাহাড়।গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রামকোল বাহাদুরপুর গ্রামে

গরুটি বিক্রি হলেও আক্ষেপ করে প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, বড় ষাঁড় কেনার ক্রেতা না থাকায় তাঁর মতো খামারিদের মাথায় হাত পড়েছে।ভবিষ্যতে এ ধরনের ষাঁড় পালন করবেন না বলে মনস্থির করেছেন।গরুটি বিক্রি করে খরচের অর্ধেক টাকাও তিনি হাতে পেলেন না।

পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের রামকোল বাহাদুরপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ভাই ভাই ডেইরি খামার গড়ে তোলেন প্রশান্ত।খামারে ছোট-বড় ৩৪টি গরুর মধ্যে চারটি গাভি এবং বাকিগুলো ষাঁড়।এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের ষাঁড়টি ছিল ‘সাদা পাহাড়’। গরুটি নিয়ে গত ২৭ মে প্রথম আলোর অনলাইনে ‘কোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত রাজবাড়ীর ৩৮ মণ ওজনের ষাঁড় “সাদা পাহাড়”’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এর আগে প্রশান্ত কুমার বলেছিলেন,২০২২ সালের মার্চ মাসে বাড়ির পেছনে তিনি খামারটি করেন।কুষ্টিয়ার বালিয়াপাড়া হাটে বিক্রি করতে আসা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় সাদা পাহাড়কে কেনেন। তিন বছরের মধ্যেই বিশাল দেহের অধিকারী হয় ষাঁড়টি।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন,এত বড় ষাঁড় রাজবাড়ীতে আর নেই।খামারিকে স্থানীয়ভাবে ঈদের আগেই গরুটি বিক্রির পরামর্শ দিয়েছিলাম। এত বড় পশু রাখা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।’

আরও খবর

Sponsered content