শিক্ষা

২১ বছর পর শিক্ষার্থীদের ফলাফলে ধস

  প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২৫ , ৬:৫৩:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।দুই দশকের মধ্যে এবার উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় সবচেয়ে কম পাসের হার রেকর্ড হয়েছে।২০০৫ সালে এইচএসসিতে পাসের হার ছিল ৫৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।এর পর থেকে প্রায় প্রতিবছরই পাসের হার বেড়েছে বা সামান্য কমবেশি হয়েছে।কিন্তু এবার তাতে বড় ধাক্কা এসেছে।২১ বছর পর শিক্ষার্থীদের ফলাফলে একপ্রকার ধস নেমেছে।

এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার হয়েছে ৫৭ দশমিক ১২,যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ পয়েন্ট কম।অর্থাৎ এ বছর প্রায় ৪৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেননি।শুধু পাসের হার নয়, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বিপুল পরিমাণে কমেছে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ জন,তার আগের বছর পেয়েছিলেন ৭৮ হাজার ৫২১ জন; কিন্তু এ বছর সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৬৩ হাজার ২১৯ জনে।

বৃহস্পতিবার এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ করা হয়।৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৪২ জন শিক্ষার্থী।এর মধ্যে পাস করেছেন ৫ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৬ জন।একই সঙ্গে মাদ্রাসার আলিম ও কারিগরির এইচএসসি ভোকেশনাল,বিএম ও ডিপ্লোমা ইন কর্মাস পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশ করা হয়।

দুই দশকের ফলাফলের ওঠানামা
দেশের শিক্ষার তথ্য নিয়ে কাজ করে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)।তাদের তথ্যানুসারে,২০০৫ সালে এইচএসসিতে পাসের হার ছিল ৫৯ শতাংশের বেশি। ২০০৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৬৪ শতাংশ,২০০৭ সালে ৬৪ শতাংশের ওপরে,২০০৮ সালে প্রায় ৭৫ শতাংশ হয়। কিন্তু ২০০৯ সালে তা কমে যায় ৭০ দশমিক ৪৩ শতাংশে।

এর পরবর্তী বছরগুলোয় পাসের হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করেছে।শুধু তিন বছর (২০১৫, ২০১৭ ও ২০১৮) ৭০ শতাংশের নিচে নেমেছিল।

২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সরাসরি পরীক্ষা হয়নি, ফলে ‘বিশেষ প্রক্রিয়ায়’ সবাই উত্তীর্ণ হন।এরপর ২০২১ ও ২০২২ সালে ভিন্ন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় পাসের হার ছিল এক বছর ৮৪ শতাংশের বেশি,আরেক বছর ৯৫ শতাংশের বেশি।কিন্তু ২০২৩ সালে তা আবার ৮০ শতাংশের নিচে নেমে আসে।আর এ বছর পৌঁছায় ৫৭ শতাংশে, যা গত ২১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

এবার ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা গেছে,ইংরেজি,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে তুলনামূলক বেশি অকৃতকার্য হয়েছেন।এটা সার্বিক ফলাফলের ওপরে বড় প্রভাব ফেলেছে।

গত বছর (২০২৪ সালে) পরীক্ষার্থীদের একাংশের চাপের মুখে মাঝপথে বাতিল করা হয়েছিল এইচএসসিতে স্থগিত হয়ে পড়া কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা।এ অবস্থায় তখন যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছিল,সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়।আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি,সেগুলোর ফলাফল তৈরি হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে।

আরও খবর

Sponsered content