সারাদেশ

২০১৪ ও ১৮-তে কামডা আমরাই কইরা দিছিলাম-এইবার ক্যামনে আটকাইতে হয় হেইডা আমরা জানি;-জাহাঙ্গীর আলম

  প্রতিনিধি ৩ জানুয়ারি ২০২৪ , ১:৩১:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

গাজীপুর প্রতিনিধি।।এইবার বুইঝা-শুইনাই নামছি। বুইঝা-শুইনাই নামছি চোর ক্যামনে আটকাইতে হয়। ২০১৪ ও ১৮-তে কামডা আমরাই কইরা দিছিলাম।এইবার ক্যামনে আটকাইতে হয় হেইডা আমরা জানি।হ্যারা কী করতে চাইতেছে,সব জানি।এইডা দেখবেন, ৭ তারিখে প্রমাণ কইরা দিমু।আপনারা শুধু ভোটকেন্দ্রে যাইয়েন আর ভোটটা দিয়েন। রক্ষা কেমনে করতে হয়,হেইডা আমরা দেইহা দিমু।’

গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিমের (রাসেল) নির্বাচনী সভায় কথাগুলো বলেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে এই সভা হয়। গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও সিটির একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক।স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সভায় জাহাঙ্গীর আলম বলেন,অনেকেই বলে,ভোট দিব ট্রাকে,যাইবোগা হের মার্কায়।আমি আপনাগো বইলা যাই। ২০১৪ করেছি,২০১৮ করছি,এটা ২০২৪ সাল।আমার মা জায়েদা খাতুন একজন নারী।কোনো পার্টি ছিল না,কোনো দল ছিল না,একটা বড় নেতা ছিল না।রাষ্ট্রের যন্ত্র সব ব্যবহার করছিল।একটা ভোটও চুরি করতে পারে নাই।এটা তো পুরুষ মানুষের ভোট।বাক্সের মধ্যে হাত দিব আর চুরি ছিনতাই করবো,হেইডা পারবো না।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর উদ্দেশে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেছিল সবাই,তারা কইছে, এইবার একটু স্বতন্ত্রকে ঘুরাইয়া দেন।প্রধানমন্ত্রী কইছে, “১৫ বছর আমি দেখছি।আমি ১৫ বছর দেখছি মানুষকে কী সার্ভিসটা দিছেন,এইবার সেই পরীক্ষাটা জনগণকে দিয়ে আসেন।” পরে গেছে পার্টির সাধারণ সম্পাদকের কাছে।গিয়া কইছে স্বতন্ত্ররে আর জাহাঙ্গীররে একটু থামায়া দেন।হ্যারে কইছে, “আপনি যদি মন্ত্রী হইয়া স্বতন্ত্রকে ভয় পান,তাইলে নির্বাচনে দাঁড়াইলেন কেন।”’

জাহাঙ্গীর আলমের এসব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।গত শনিবার এক দিনে গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিমের সমর্থনে কালিয়াকৈর উপজেলায় ১১টি পথসভা করেন জাহাঙ্গীর।প্রতিটি সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে আক্রমণ করেন কথা বলেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা তাকে থামানোর জন্য কোথাও যাইনি, যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।আমরা যদি প্রধানমন্ত্রীর কাছে,দলের কাছে গিয়ে থাকি,তাহলে কি সে কাউকেই মানে না।এটাই বুঝাতে চাইছে।যাহোক তার (জাহাঙ্গীর আলম) কোনো বিষয়ে কথা বলতে চাই না।তার মুখে যখন যা আসে,তা-ই বলেছে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর ফোন অন্য একজন ধরে বলেন, ‘ভাই পথসভায় ব্যস্ত আছেন।’

আরও খবর

Sponsered content