অপরাধ-আইন-আদালত

সৌদি আরবের ১০ বিচারকের মৃত্যুদণ্ড

  প্রতিনিধি ২৬ মার্চ ২০২৩ , ৮:৪৯:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।গত বছরের মার্চে একদিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে গোটা বিশ্বের নজরে আসে সৌদি আরব।এবার ১০ জন বিচারককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এই দেশে।মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মীদের প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর জন্য সৌদি আরব তাদের এ শাস্তি দিয়েছে। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়,১০ জনের মধ্যে ৬ জনই রিয়াদের বিশেষায়িত ফৌজদারি আদালতের বিচারক।বাকি চারজন হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি।২০২২ সালের ১১ এপ্রিল সৌদি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা তাদের গ্রেফতার করেছিল।এরপর থেকে তারা এখনো কারাগারে বন্দী।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কোনো আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না।শুধু তাই নয়,পরিবার ও বহিরাগতদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগের অনুমতি নেই।সাজাপ্রাপ্ত বিচারকদের একজন আল লুহাইদান। ২০২০ সালে তিনি বিশিষ্ট নারী অধিকার কর্মী লুজাইন-আল-হাথলাউলকে তার আদালতে উপস্থাপনের ২ মাসের মধ্যে মুক্তি দেন।

এর আগে সৌদি আদালত লুজাইনকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।কিন্তু মামলাটি লুহাইদানের আদালতে যাওয়ার পর তিনি লুজাইনের সাজা কমিয়ে মাত্র ২ বছর ১০ মাস করেন। নারী অধিকার কর্মীকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি দেওয়া হয় কারণ সেই সাজাটির বেশিরভাগই ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছিল।

বাকি ‘অভিযুক্ত’ বিচারপতিদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে।তাদের অপসারণ করে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ইতোমধ্যে ওই জায়গায় অন্য বিচারক নিয়োগ করেছেন।সূত্রের খবর,নবনিযুক্ত বিচারপতিরা রাষ্ট্রের প্রতি অত্যন্ত অনুগত।

তারা ইতোমধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যান্য অভিযোগে মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মীদের বিচারে সাজা বাড়াতে শুরু করেছে।জানা গেছে,শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার অপরাধে গ্রেফতার হওয়া দুইজনের সাজা যথাক্রমে ৮ বছর ও ১৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৪ ও ৪৫ বছর করা হয়েছে।

বিচারকদের এভাবে অভিযুক্ত করা এবং তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।এর মাধ্যমে সৌদি সরকার এই বার্তা দিতে চায়,সামান্যতম রাষ্ট্রদ্রোহও বরদাস্ত করা হবে না।সন্ত্রাসবাদ ও অন্যান্য অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সমাজকর্মীদেরকে কঠোরতম শাস্তি না দিলে একই শাস্তি ভোগ করতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content