প্রতিনিধি ১২ অক্টোবর ২০২৫ , ৭:০০:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।শরিয়াহভিত্তিক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্যাংকের একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হক।

রবিবার (১২ অক্টোবর) তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
জানা গেছে,সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ শরিয়াহভিত্তিক আরও পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরপরই তিনি এ পদ থেকে সরে দাঁড়ান। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সভায় এই একীভূতকরণের প্রস্তাব অনুমোদন হয়।
পদত্যাগপত্রে মো. রেজাউল হক লিখেছেন,ব্যাংক কোম্পানি আইনের বিধান অনুযায়ী যেসব স্বতন্ত্র পরিচালকের ব্যাংকের সঙ্গে কোনও স্বার্থ থাকা উচিত নয়,তাদের নিয়েই পর্ষদ গঠন করা হয়েছিল।ফলে গত এক বছরেরও বেশি সময়েও ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
তিনি বলেন,ব্যাংকের প্রকৃত উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের হাতে পরিচালনার দায়িত্ব দিলে পরিস্থিতির উন্নতি হতো।বর্তমান পর্ষদ কেবল দৈনিক অফিসে উপস্থিত থাকা ও বেতন নেওয়া ছাড়া ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কোনও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি।
রেজাউল হক আরও অভিযোগ করেন,বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আয়োজিত একীভূতকরণ সংক্রান্ত শুনানিতে স্বতন্ত্র পরিচালকরা তাকে না জানিয়ে অংশ নেন,যা তাদের এখতিয়ারবহির্ভূত ছিল।
‘২০১৭ সালে জোর করে সরানো হয়’
নিজের চিঠিতে তিনি স্মরণ করেন, ২০১৩ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন।তার মেয়াদে ২০১৬ সালে ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হয়।
কিন্তু ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে অস্ত্রের মুখে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।সেই সময় ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেয় চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
রেজাউল হক বলেন,এস আলমের দখলের পর গত সাত বছরে ব্যাংকটিতে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে।আমরা আশা করেছিলাম,আওয়ামী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকটি প্রকৃত উদ্যোক্তা ও শেয়ারধারীদের হাতে ফিরিয়ে দেবে।কিন্তু তা না করে স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়ে অকার্যকর পর্ষদ গঠন করা হয়।
একীভূত হওয়ার পথে পাঁচ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকসহ শরিয়াহভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হয়ে একটি নতুন ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই শিগগিরই এসআইবিএলের বর্তমান পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা বিলুপ্ত করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগেই পদত্যাগ করেন উদ্যোক্তা পরিচালক মো. রেজাউল হক।
















