রাজনীতি

সেনাবাহিনীর উচিত শাসন ক্ষমতা হাতে নিয়ে সেনা আইন বা মার্শাল ল চালু করা

  প্রতিনিধি ২৬ মার্চ ২০২৫ , ২:৫১:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

0Shares

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট।।বুধবার বাংলাদেশের ৫৫ তম স্বাধীনতা দিবস।এদিন চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।বিদেশ যাত্রার কারণে স্বাধীনতা দিবসের সব অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন না তিনি।চিন সরকারের ভাড়া করা বিশেষ বিমানে সে দেশে যাবেন ইউনুস।সফরসুচির অন্যতম হল চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক।

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের মাঝে প্রধান উপদেষ্টার বিদেশ সফরের সিদ্ধান্তে তীব্র জনক্ষোভ তৈরি হয়েছে।অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন,স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে পক্ষকাল ব্যাপী সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি থাকবেন না।এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্তে অনেকেই বিস্মিত।

পাশাপাশি চিন যাত্রাই রাষ্ট্র প্রধান হিসাবে ইউনুসের শেষ সফর কিনা তা নিয়েও জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা নাকচ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিলেও জল্পনায় জল পড়ছে না।

আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল দেশে সেনা অভ্যুত্থান চেয়ে সমাজমাধ্যমে দেশবাসীর আর্জি।বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে যা ঘটেনি।অনেকেই খোলাখুলি সেনা শাসনের পক্ষে সওয়াল করছেন।তাদের বক্তব্য,দেশের যে পরিস্থিতি তাতে সেনাবাহিনীর উচিত শাসন ক্ষমতা হাতে নিয়ে সেনা আইন বা মার্শাল ল চালু করা।

কিছুদিনের জন্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড,মিটিং-মিছিলের মতো প্রকাশ্য কর্মসূচি নিষিদ্ধ করার পক্ষেও সওয়াল করছেন অনেকে।তাদের বক্তব্য,একদিকে,দেশের অরাজকতা চলছে। চুরি,ছিনতাই,খুন,ধর্ষণের মহামারি শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দিন দিন বাড়ছে।এই পরিস্থিতিতে একমাত্র সেনাই পারে দেশকে শান্ত রাখতে।

আলোচনায় উঠে আসছে সেনা সমর্থিত জাতীয় সরকারের প্রস্তাবও।অবসরপ্রাপ্ত কোনও সেনাকর্তাকে মাথায় রেখে সব দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের নিয়ে সরকার গড়ার ভাবনা উঠে এসেছে আলোচনায়।

এই আলোচনা তীব্র হয়েছে গত সোমবার সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ জামানের অফিসার্স এড্রেসের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর। সেনা প্রধান বাহিনীকে নতুন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। সেই সুত্রে আলোচনায় ফিরেছে তাঁর দিন কুড়ি আগের বক্তব্য। বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে রাজনীতিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। পরে বলবেন না আমি আগাম সতর্ক করিনি। আপনারা নিজেদের মধ্যে বিবাদ চালিয়ে গেলে দেশ বিপন্ন হবে।’ দেশে অরাজকতা চলছে বলেও ভাষণে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

অনেকেই সেনা প্রধানের ওই হুঁশিয়ারি এবং সেনা সদরে বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের যোগসুত্র খুঁজে পাচ্ছেন। গোটা বাহিনী তাঁর পাশে আছে প্রমাণ দিতেই ওয়াকার-উজ জামান ওই বৈঠক করেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তাদের অনেকেই মনে করছেন, সব বাহিনীর প্রধানই বড় কোনও পদক্ষেপ করার আগে নিজের জায়গা আগে শক্ত করে নেন। ওয়াকার-উজ জামান সেই কাজটাই শুরু করেছেন বলে মত বহুজনের।

0Shares

আরও খবর

Sponsered content

0 Shares