প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৪:২৩:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
মাজহারুল ইসলাম।।রাজনীতিতে ক্ষমতা প্রদর্শনের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো সামনে থাকা চেয়ারটি দখল করা।কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের আচরণ যেন তা বিপরীত বার্তা দিচ্ছে—বিশেষ চেয়ার ছেড়ে নিজে সাধারণ চেয়ারে বসা, আর সিনিয়র নেতাদের বসতে দেওয়া বিশেষ আসনে।ছোট্ট এই দৃশ্যই এক ধরনের রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে।

তারেক রহমানের কথাবার্তা ও ভঙ্গি থেকে দেখা যাচ্ছে সহনশীলতা ও সম্মানবোধের নতুন মাত্রা।আগ্রাসন কম, অন্যকে জায়গা দেওয়ার প্রবণতা বেশি।এটি শুধুই সৌজন্য নয়; বরং নেতৃত্বের সচেতন অনুশীলনের প্রতিফলন।নেতৃত্ব মানে কেবল সামনে থাকা নয়—অন্যদের মর্যাদা দেওয়া,দলের অভিজ্ঞতা ও অগ্রজদের স্বীকৃতি দেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে—এটি কি নিছক রাজনৈতিক কৌশল,নাকি দীর্ঘ অভিজ্ঞতার ফলস্বরূপ উপলব্ধি? সম্ভবত দুটির মিশ্রণ। দীর্ঘ প্রবাস,রাজনৈতিক ওঠাপড়া এবং দলের ভেতরের বাস্তবতা একজন নেতাকে নতুনভাবে চিন্তাভাবনার সুযোগ দেয়। বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিবেশে এমন আচরণ মানুষকে আলাদা করে ভাবতে বাধ্য করছে।
যদি এই পরিবর্তন ধারাবাহিক হয়,তবে এটি তারেক রহমানকে নতুনভাবে মূল্যায়নের সুযোগ তৈরি করবে।সাধারণ চেয়ারে বসার এই ছোট্ট সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করছেন, রাজনীতি শুধু ক্ষমতার প্রদর্শনী নয়,বরং সম্মান,সহনশীলতা এবং সমান মূল্যায়নের বিষয়ও।
সময়ই বলবে,এই সাধারণ চেয়ারে বসার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কতটা গভীর প্রভাব ফেলবে।তবে আপাতত এটি একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে মানুষকে ভাবাচ্ছে—নেতৃত্ব মানে শুধু সামনে থাকা নয়,বরং অন্যদের স্থান ও মর্যাদা দেওয়া।
















