শিক্ষা

সংগীত শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্মারকলিপি প্রদান

  প্রতিনিধি ২০ নভেম্বর ২০২৫ , ৫:৫২:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে উপদেষ্টার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক এবং উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদ সেলিম,কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আবু সাঈদ,রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সংস্থার সভাপতি ড. মকবুল হোসেন প্রমূখ।

স্মারকলিপি প্রদানকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ বিষয়ে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এ সময় সংগঠনের আহ্বায়ক মাহমুদ সেলিম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ মহলের চাপে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের গেজেটকৃত সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে।মহলটি সংগীত শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে অথচ প্রতিটি বিদ্যালয়ে পূর্ব থেকেই ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োজিত আছেন।শিশুর সর্বাঙ্গীন বিকাশে শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতি ও শরীরচর্চার যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে,তা বিশ্বের সব শিক্ষাবিদ ও মনস্তত্ত্ববিদ দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন।

কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আবু সাঈদ বলেন,সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল একটি আত্মঘাতী ও পশ্চাৎপদ সিদ্ধান্ত। এটি কেবল শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সবল জাতি গঠনে অন্তরায় নয়,এটি একটি মনন-বোধ-বিবেক-বুদ্ধিহীন রোবট প্রজন্ম গড়ার ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করারই সামিল।’

রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি ড. মকবুল হোসেন বলেন,সংগীত প্রথম দৃষ্টিতে,শুধুই বিনোদন মনে হলেও গবেষণা বলছে,এটি এক প্রকার ‘মস্তিষ্কের ব্যায়াম’। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে. যেসব শিশু সৃজনশীল কাজের সুযোগ পায়,তারা মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়।

ধর্মের নামে যারা সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষা বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন তারা একটি মেধাহীন, বোধহীন অবিকশিত-বুদ্ধির প্রজন্ম গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র করছেন।’

এদিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রতিবাদে আগামী ২২ নভেম্বর শনিবার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করবে জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলন।সেখানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা শিশুদের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা ছাড়াও গান,নাচ, আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করবেন বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা।

জাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষা আন্দোলনে যুক্ত সংগঠনসমূহ: বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী,রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা, সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ,নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদ,গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ,নবান্ন উৎসব উদযাপন পরিষদ,বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ,রাধারমন সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র,শিল্পকলা বিদ্যালয় ঐক্যজোট,বাংলাদেশ বাউল ও লোক শিল্পী সংস্থা,জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ,বুলবুল ললিতকলা একাডেমি,কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর,কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, ভয়েস অব আর্টিস্ট,প্রাচ্যনাট,বিশ্ববীণা,আনন্দন,বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি,ীবাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ।

আরও খবর

Sponsered content