সারাদেশ

শেবাচিম কেন্টিনে গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় এক কর্মচারীকে গনধোলাই

  প্রতিনিধি ৩ জুন ২০২৩ , ১:৩২:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

শেবাচিম প্রতিনিধি।।গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার কারণে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ম তলার কেন্টিন কর্মচারী আনোয়ারকে গনধোলাই দিয়েছে রোগীর স্বজনরা।

আজ শনিবার সকাল সারে এগারোটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময়ে কর্মচারী আনোয়ার কেন্টিন ছেড়ে দৌড়ে পালিয়েছে।

এদিকে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মিরাজ বলেন,মারধরের ঘটনায় উভয়কে থানায় নিয়ে আসা হলেও পরে তাদেরকে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।অন্যদিকে হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসার কমান্ডার মোশারফ হোসেন বলেন,মারধর করারা অপরাধে আমরা উভয়কে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছি।

এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,শনিবার সকাল সারে এগারোটার দিকে বস্তি এলাকার কিছু ছেলেপান আনোয়ারের কেন্টিনে চা পান করার জন্য যায়।অনেক্ষণ ধরে অপেক্ষা করেও ওই যুবকরা চা পায়নি।একাধিকবার বলার পরও চা না দেওয়ায় আনোয়ারের সঙ্গে তর্ক শুরু হয়।একপর্যায়ে আনোয়ার ইন্টার্ন ডাক্তারদের নাম ভাঙিয়ে ওই যুবকদের হুমকি ধামকি দিতে থাকে।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যুবকরা আনোয়ারকে গনধোলাই দেন।এতে আনোয়ারের মুখমণ্ডল থেতলে যায় এবং পরিধেয় বস্ত্র ছিড়ে যায়।

অভিযোগ রয়েছে এর আগেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয় আনোয়ারকে।প্রশান্ত নামে এক যুবকের সঙ্গে গত সপ্তাহে ঝগড়াঝাটি করে সে।

জানা গেছে,আনোয়ার আগে বরিশাল নগরীর পলাশপুর বস্তিতে গাঁজা বিক্রি করতো।মাদক বিক্রির অপরাধে কারাগারেও গিয়েছিল সে।পরে হাসপাতালের কেন্টিনে এসে নানারকম অপকর্মে জড়িয়ে পরে।হাসপাতালের পথ্য বিভাগ থেকে ভাত ও ডিম চুরি করে সে।এর আগে হাসপাতালের পথ্য বিভাগ থেকে চুরি হওয়া ৬টি ব্রয়লার মুরগী ওই কেন্টিনের ফ্রীজ থেকে উদ্ধার করা হয়।

হাসপাতালে ডিউটিরত ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন (এনএসআই) সদস্য আবুল বাশার চোরাই মুরগীর বিষয়টি হাসপাতাল পরিচালককে জানান।এসময়ে পরিচালক কেন্টিন মালিক আরিফ,আনেয়ার ও পথ্য বিভাগের ডায়েটিশিয়ান জাকিরকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনেন।

কিন্তু লিখিতভাবে এমন অপকর্ম আর হবে না এই মর্মে তারা রেহাই পায়।পরে তাদেরকে মাফ করে দেওয়া হয়।তবে কেন্টিনে কোনরকমে ঝামেলা হলেই ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করে কেন্টিন মালিক ও কর্মচারী।বলা হয় গ্রাহকদের কাছে সিগারেট বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করলে তাদের ওপর হামলা করা হয়।কেন্টিন ইজারা নেওয়ার পর থেকে একাধিক গ্রাহকের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হয়েছে তারা।তবে কর্মচারী আনোয়ার বলেন,সিগারেট বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করার কারণে ধারালো বটি দিয়ে আমাকে কোপাতে আসে ওই যুবকরা।

আরও খবর

Sponsered content