প্রতিনিধি ১ জানুয়ারি ২০২৩ , ২:২৪:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।নতুন বছরে দ্বিতীয় সন্তান-অনেকেই নতুন বছর শুরু করেছেন নতুন পদক্ষেপ করার কথা ভেবে।বহু দম্পতি নতুন বছরে দ্বিতীয় সন্তানের পরিকল্পনা করে ফেলেছেন।কেউ বা আবার ভাবছেন, বাড়িতে এক খুদে থাকা সত্ত্বেও আবার আর একটি শিশুকে আনা ঠিক হবে কিনা।এই সিদ্ধান্তের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে বন্ধুবান্ধব বা বাড়ির বড়রা হয়তো সাবধানও করছেন।শুধু মা-বাবা হলেই তো হবে না।সন্তানদের নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের মানুষের মতো মানুষ করতে হবে।সেই সব কিছুর দায়িত্ব নেওয়ার মতো মানসিকতাও রাখতে হবে।

১) ছোট ভাই বা বোনের যত্ন নেওয়া
ভাই-বোনেরা একসঙ্গে থাকলে যে কোনও সমস্যায় তারা একে অপরের পাশে থাকতে পারে।বাড়িতে আগে থেকেই এক জন ছোট সদস্য থাকলে অনেক সময়েই সদ্যোজাতকে সামলাতে এগিয়ে আসে তারাই।মতের অমিল হলে একটু-আধটু ঝগড়া হতেই পারে।কিন্তু মা-বাবা,বাইরের মানুষদের কাছে তারা সব সময়ে জোটবদ্ধ হয়ে অন্যের পাশে থাকার চেষ্টা করে।এতে অন্যের জন্য ভাবতে শেখে শিশুরা। ভাই বা বোন থাকলে সেই শিক্ষা হয় ঘর থেকেই।
২) ভাগ করে নেওয়ার মানসিকতা
প্রথম প্রথম ছোট্ট মানুষটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হয়।কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের অবস্থান একটু বুঝতে শিখলেই নিজের সব কিছু তারা ছোট ভাই বা বোনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে শেখে।এই অভ্যাসই পরবর্তী কালে বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে বুঝতে শেখায়।
৩) একসঙ্গে সমস্যার সমাধান করা
সন্তান মা-বাবার সবচেয়ে আদরের।কিন্তু একটি সন্তান হলে দু’জনের পুরো মনোযোগই এক জনের দিকে থাকে।মা-বাবারাও তাদের নিয়ে খবু বেশি স্পর্শকাতর হন।কিন্তু বাড়িতে দু’জন খুদে সদস্য থাকলে ঝগড়া,মারামারি সব কিছুর মধ্যেও ভালবাসা থাকে।আবার এমন অনেক সমস্যা থাকে, যেগুলি মা-বাবার সঙ্গে আলোচনা করার আগে ভাই-বোনেরা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে ফেলতে পারে।বড় হলে মা-বাবার দায়িত্ব একসঙ্গে নেওয়ার মানসিকতাও গড়ে ওঠে।

















