প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ , ১২:৫৮:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
ডেস্ক রিপোর্ট:দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও সহিংস ঘটনায় শত শত শিশু আজ বাবা-মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ছে।

রাজশাহীর পঙ্গু মাসুদের ছোট্ট শিশু,টাঙ্গাইলের মোমিনের শিশু,সদ্য নৃশংস হত্যার শিকার দীপু দাশের অবুঝ সন্তান, গোপালগঞ্জের দীপ্ত সাহার শিশু,ওসমান হাদির রেখে যাওয়া ছোট্ট সন্তান—এই তালিকা প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে।
মানবাধিকারকর্মীদের মতে,এসব শিশু শুধু পরিবার হারাচ্ছে না,হারাচ্ছে নিরাপত্তা,স্থিতিশীলতা এবং একটি স্বাভাবিক ভবিষ্যৎ।প্রশ্ন উঠছে—এই শিশুদের জীবন যেন আগামীর পথে আরও দুর্বিষহ না হয়,সে দায় কার?
এদিকে লক্ষ্মীপুরের শিশু আয়শা ও মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যু দেশজুড়ে গভীর শোক ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।তারা কেউ রাজনীতি বোঝে না,ধর্ম বা ক্ষমতার হিসাব বোঝে না—তবুও সহিংসতা ও অপরাধের বলি হতে হয়েছে তাদেরই।
বিশ্লেষকদের ভাষ্য,শিশুদের ওপর সহিংসতা ও পারিবারিক হত্যাকাণ্ড কেবল আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতাই নয়,এটি রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ব্যবস্থার বড় সংকেত। অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত না হওয়া এবং ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য কার্যকর পুনর্বাসন ব্যবস্থা না থাকায় এতিম শিশুরা আরও ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
শিশু অধিকার সংগঠনগুলো বলছে,এসব শিশু কোনো অপরাধী নয়,কোনো রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বিভাজনের অংশ নয়।তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। একই সঙ্গে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষেরও দায়িত্ব রয়েছে—সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,শিশুদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন—দ্রুত বিচার,মানসিক সহায়তা,শিক্ষা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম।তা না হলে একটি প্রজন্ম ভয়,অনিশ্চয়তা ও বঞ্চনা নিয়ে বড় হবে,যার দায় এড়াতে পারবে না কেউই।
শেষ পর্যন্ত প্রশ্ন একটাই—শিশুদের জন্য,শিশুদের নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য এবং একটি শিশুদের বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে আমরা কি সত্যিই দায়িত্বশীল আচরণ করছি?

















