প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২৪ , ৩:৩৩:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।।ডলারের সরবরাহ বাড়তে থাকায় জুলাই-আগস্টের স্থবিরতা কাটিয়ে গতি ফিরছে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে।চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে বাল্ক পণ্য আমদানি কিছুটা কমলেও বেড়েছে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং।এছাড়া রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ বাড়ায়, এলসি খোলায় জটিলতা কাটতে শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী,চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসেই ৮ লাখ ২৬ হাজার ৫২৮ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।যা আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় ৩৬ হাজার ৬৯৭ টিইইউএস বেশি।রাজনৈতিক অস্থিরতায় জুলাই এবং আগস্টে স্থবিরতা থাকলেও সেপ্টেম্বর মাসে ২ লাখ ৮৩ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।তবে ডলার সংকটের কারণে আগের দুই মাসে এলসি খোলার জটিলতায় বাল্ক পণ্য যেমন আমদানি কম হয়েছে তেমনি পণ্যবাহী জাহাজও এসেছে তুলনামূলক কম।গেলো মাসে দু’টিই বেড়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন,রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বন্যাজনিত কারণে আমদানি কম হয়েছে,ডেলিভারিও কম হয়েছে।তবে সেপ্টেম্বর থেকে অনেকটা গতি পেয়েছে।আশাকরছি সামনের দিনগুলো এটা আরও বাড়বে।’
৩৮ ধরনের আমদানি পণ্যের পাশাপাশি রফতানি পণ্যের শতভাগ শুল্কায়ন এবং জাহাজীকরণ সম্পন্ন হয় বেসরকারি ২১টি অফডকে।জুলাই-আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে অফডকগুলোতে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হিসাবে ২ লাখ ১ হাজার ৮৭০ টিইইউএস রফতানি এবং ৫ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হিসেবে ৬৯ হাজার ১৪৭ টিইইউএস আমদানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।
বিকডা মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বিপ্লব বলেন, ‘আমদানি ও রফতানি,দুটি ক্ষেত্রেই আমরা প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি।প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও এ প্রবৃদ্ধি আশান্বিত করছে যে,বছরের শেষ মাসগুলোতে প্রবৃদ্ধির হার বজায় থাকবে। এবং বছর শেষে আমরা আমদানি-রফতানিতে একটা ইনক্রিজিং পরিসংখ্যান হাতে পাবো।’
ডলার সংকটের কারণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খোলায় ব্যাপক বিধি-নিষেধ আরোপ করে।বর্তমানে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এবং রিজার্ভের অবস্থান সুসংহত হওয়ায় এলসি খোলার জটিলতাও কেটে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন,আমাদের ডলার সংকট দূর করতে হবে।যারা মালামাল ইমপোর্ট করতে চায়,তারা যেন সহজে এলসি করতে পারে।এবং মিল ফ্যাক্টরিগুলো যাতে স্বাভাবিক থাকে। এসব বিষয় নিশ্চিত করা গেলে আমদানি-রফতানির প্রবৃদ্ধি আরও গতি পাবে।’
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে চট্টগ্রাম বন্দর ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউএস কন্টেইনার,১২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার মেট্রিক টন কার্গো পণ্য হ্যান্ডলিং করে।আর বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ এসেছিলো ৩ হাজার ৯৭১টি।

















