অপরাধ-আইন-আদালত

রাণীশংকৈল অবৈধভাবে জাল ও ভূয়া সনদ দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে এমপিওতে অন্তর্ভূক্ত

  প্রতিনিধি ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ , ৩:৩৭:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে গাজিরহাট মোজাহার আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের একটি অভিযোগে উঠে আসে।

গাজিরহাট মোজাহার আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইসলাম ধর্ম পদে মোঃ রমজান আলী গত ১/২ /১৯৮৪ ইং সালে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপরে গত ১৯৮৬ ই; সালে ইসলাম ধর্ম শিক্ষক হিসেবে এম‌পিও ভুক্ত হন।

উল্লেখ্য ৩১/৭/২০১২ ই; সালে তিনি সহকারী শিক্ষক ইসলাম ধর্ম পদ হতে ইস্তফা প্রদান করিয়া ১/৮/২০১২ ইং তারিখে অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন।যদিও ২০১২ ইং সালের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ধর্মীয় শিক্ষক পদে থাকা কোন শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হতে পারে না সেহেতু তার এই নিয়োগটি সঠিক নয়।

তিনি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স সনদ অর্জন ও বিএড সনদ দেখাইয়া নিয়োগ লাভ করেন যা পরবর্তীতে মামলার কারণে(পিবিআই)কর্তৃক তদন্ত জাল ও ভুয়া প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়।

সেক্ষেত্রে অবৈধ হিসেবে গণ্য হওয়া বারবার অনলাইনে এমপিও ভুক্তির জন্য প্রেরণ করেও এম‌পিও ভুক্ত হয় নাই। ২০১৩ ইং সাল হতে ২০২০ এর ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত মোঃ রমজান আলী অবৈধ মনোনীত একজন ব্যক্তি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কে এডহক কমিটির দীর্ঘ ৮ বছরের সভাপতি করেন। এবং রমজান আলী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেও তিনি পূর্বের পদে বেতন ভাতা ১/ ৮ /২০১২ ইং হতে জানুয়ারি ২০২০ ইং পর্যন্ত অবৈধ ভাবে বারবার এডহক কমিটি করে সভাপতির যোগ সাজসে উওোলন করিয়া আসিয়াছেন।৮/৩/২০২০ ইং নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন হওয়ার পর রমজান আলী সহকারী পদের বেতন ভাতাদি উওোলন সভাপতি ফেব্রুয়ারী ২০২০ ইং সাল থেকে বন্ধ করে দেন।

ম্যানেজিং কমিটি রমজান আলীকে তার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কাগজ পত্র দেখানোর জন্য বার বার বলা হলেও তিনি উক্ত বিষয়টিতে তোয়াক্কা না করলে ম্যানেজিং কমিটি ৩টি কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

কিন্তু উপযুক্ত জবাব দিতে ব্যর্থ হলে ২৪/৩/২০২১ ইং সালে তাকে সাময়িক বহিস্কার করে এবং ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।উক্ত তদন্ত কমিটি তার সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করতে ব্যার্থ হলে উক্ত ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে তদন্ত রিপোট পেশ করেন।

যাহাতে রমজান আলীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হলে উক্ত ম্যানেজিং কমিটিকে অত্র বিদ্যালয়ের তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন ।যাহাতে রমজান আলীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে প্রমান হলে উক্ত ম্যানেজিং কমিটি ১৮/৯/২০২১ ইং তারিখে চুরুন্ত বহিস্কারের জন্য দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড প্রেরণ করেন।

অতঃপর ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ৭/৩/২০২২ ইং সালে শেষ হওয়ায় আর কোন কমিটি গঠন হয়নি।রমজান আলীর বিরুদ্ধে চিফ জুটিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঠাকুরগাঁও তার বিষয়ে ইংরেজিতে অনার্স সনদ, বি এড সনদ এবং ইংরেজিতে অনার্স পাশের সনদ দুইটি জাল এবং ভুয়া বলে একটি মামলা দায়ের করা হয় যাহার মামলা নং সি আর ১৯৫/ ২১

এব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মীগণ উক্ত তদন্তের প্রতিবেদনটি দাখিলকারি মো. কামরুজ্জামানের এস আই(সিনিয়র) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন(পিবিআই) ঠাকুরগাঁও মুঠোফোনে জানতে চাইলে,তিনি বলেন-আমরা তদন্ত করে যা পেয়েছি, সেই তদন্তটি বিজ্ঞ অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সেটির মাধ্যম :(১)যথাযথ কর্তৃপক্ষ (২) তদন্ত প্রতিবেন (৩) সূত্র:সিআর মামলা নং১৯৫/২০২১ ( রাণীশংকৈল ),বিজ্ঞ আদালতের স্মারক নাম্বার ৩১৬৪/(২) তারিখ ২৩ / ৯/২০২১ খ্রি; ধারা-৪২০/৪৬০/৪৭৫/৪৬৭/ ৪৭১ পেনেল কোট হয়েছে। যা তারিখ-২৩/৯/২০২১ খ্রি: ধারা -৪০২ তদন্ত জাল ভুয়া বলে চিপ জুটিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদন দাখিল করেন।মামলাটি এখনো চলমান।

অক্টোবর ২০২২ ইং সালে (এমপিওতে) তার সহকারী শিক্ষকের বিল ভাতাদি আসে।এমতাবস্থায় হটাৎ করে নভেম্বর ২০২২ ইং দাখিল করা সনদ দুইটি জাল ও ভুয়া প্রমা‌নিত ।

এমতাবস্থায় তার হঠাৎ করে নভেম্বর ২০২২ সালে (এমপিওতে) প্রধান শিক্ষকের বিল দেখা যায় যেহেতু (পিবিআই) তদন্ত করে মামলাটি এখনো চলমান অ‌ক্টোবর ২০২২ ইং সা‌লে (এম‌পিও)‌তে তার সহকারী শিক্ষক(ই:ধ) বিল ভাতা‌দি এখনও আসে ।সেহেতু কি করে প্রধান শিক্ষক পদে বিল ভাতা দিয়ে কি ভাবে অন্তর্ভুক্ত হয় বিষয়টি সকলের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।

এ ব্যাপারে উক্ত বিষয়টি গাজিরহাট মোজাহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান,গাজীরহাট মোজাহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ইসলাম ধর্ম পদে মোঃ রমজান আলীর এই অভিযোগটি আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা জন্য অনুরোধ করেন । ১)মহাপ‌রিচাল- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অ‌ধিদপ্তর, বাংলা‌দেশ,ঢাকা-১০০০ ২) মহাপরিচালক বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ঢাকা ১২০৫ বাংলাদেশ। ৩। উপ মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রংপুর অঞ্চল রংপুর।৪)জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ঠাকুরগাঁও। ৫) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।

আরও খবর

Sponsered content