জাতীয়

যেকোনও হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে-প্রধানমন্ত্রী,শেখ হাসিনা

  প্রতিনিধি ২ মার্চ ২০২৪ , ৩:৪৬:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

রাজশাহী প্রতিনিধি।।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনা সদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ দেশের সম্পদ, দেশের মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের মূর্ত প্রতীক।তাই পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য আপনাদের দক্ষ, সৎ ও নিষ্ঠাবান হতে হবে।পবিত্র সংবিধান এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যেকোনও হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা,পারস্পরিক বিশ্বাস,সহমর্মিতা,ভ্রাতৃত্ববোধ,কর্তব্যপরায়ণতা,দায়িত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা বজায় রেখে আপনারা একনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন বলে আমি আশা করি।’

শনিবার (২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সদস্যরা নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালনে সক্ষম হবেন। কর্মজীবনের সব ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখবেন।’

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মত্যাগ,কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে দেশের জন্য বয়ে এনেছেন সম্মান ও মর্যাদা।যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাসদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গণতান্ত্রিক ধারা সমুন্নত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময়ই গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেদের নিয়োজিত করেছে।পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ তদারকি,কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রকল্প, হাতিরঝিল সমন্বিত প্রকল্প,বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ, মহিপাল ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং থানচী-আলীকদম সড়ক নির্মাণ ইত্যাদি জাতীয় কার্যক্রমে সেনাদের অবদান অনস্বীকার্য।’

সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার একটি উন্নত ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য বদ্ধপরিকর।সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন,একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা,সার্বিক দক্ষতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে।এ লক্ষ্যে যুগোপযোগী উন্নত প্রযুক্তি,আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জামাদি সরবরাহ, প্রশিক্ষণ ও উন্নত প্রশিক্ষণ সামগ্রী সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণসহ সময়োচিত সব পদক্ষেপ গ্রহণে আমাদের সরকার সদা সচেষ্ট।সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন পদাতিক ডিভিশন,ব্রিগেড,ইউনিট ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।এ ছাড়া রিক্রুট প্রশিক্ষণকে আরও আধুনিকায়ন এবং যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন,আমাদের সরকার সব সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সার্বিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ সুবিধাদির উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব প্রদান করে যাচ্ছে। ক্যাডেটদের মৌলিক প্রশিক্ষণ ও প্রাতিষ্ঠানিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের মেয়াদকাল বৃদ্ধি করা হয়েছে,যেখানে ক্যাডেটরা বিভিন্ন বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার সুযোগ লাভ করেছেন।রিক্রুটদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন ফরমেশনে প্রশিক্ষণ সুবিধাদি সম্প্রসারণ করা হয়েছে।’

আরও খবর

Sponsered content