জাতীয়

মেহেন্দিগঞ্জে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষন চেষ্টা-নাটকীয়তার অবশেষে মামলা!!!

  প্রতিনিধি ২ এপ্রিল ২০২২ , ৪:৪১:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:-বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার শ্রীপুর ইউনিয়নের বিএনপির সহ-সভাপতি আঃ মন্নান শেখ কর্তৃক প্রকাশ্য দিন দিপুরে শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়র চতুর্থ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা ও ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভিকটিম ও ভিকটিমের মা সহ ৩জনকে তুলে নিয়ে আটকিয়ে নির্যাতন কথিত বিচারের নামে ধামাচাপা পুর্বক খুন-জখমের হুমকি ঘটনায় ১০জনের বিরুদ্ধে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।বরিশালের পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হাসান নিশ্চিত করছেন।তিনি সাংবাদিকদের জানান,ভিকটিমের পিতার অভিযোগ নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু পুর্বক আসামী ধরতে অভিযান চলছে।অভিযুক্ত কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলকে শ্যোন এ্যারেষ্ট দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

মামলায় যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়।তারা হলেন,শ্রীপুর গ্রামের মৃত সেকান্দার আলী শেখের ছেলে আঃ মন্নান শেখ(৬০ ও তার পুত্র রাজ্জাক শেখ(৩৫)ডালিম শেখ(৩০),হারুন শেখ(২৪)চরফেনুয়া গ্রামের কাজী আঃ রশীদের ছেলে শ্রীপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল(৫৫),মোঃ মোসলেম জোমাদ্দারের পুত্র হাসান জোমাদ্দার(৩২),বেল্লাল জোমাদ্দারের ছেলে হোসেন জোমাদ্দার(৩০),বাহেরচর গ্রামের মোঃ রত্তন রাড়ীর পুত্র জসিম রাড়ী(৪০),মৃত হাসন আলী মোল্লার ছেলে রাসেদ মোল্লা(৩৫),জীবন মোল্লার ছেলে মাইদুল মোল্লা(২৪)সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৮জন।

বাদীর অভিযোগে যা উল্লেখ করেন,বিবাদীরা পরঃস্পর আত্মীয়ের বন্দনে আবব্দ ভয়ঙ্কর অপরাধী চক্র।অপরাধমুলক কর্মকান্ড করাই তাদের পেশা ও নেশা।চুরি-ডাকাতি,মারামারি,লুটপাট,ভুমিদস্যুতা,নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষন সহ নানাবিধ অপরাধে বরিশাল-ভোলার আদালতে ডজনখানেক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

আমি একজন সাধারন হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান।পেশায় জেলে।সাগরে মাছ ধরে জীর্বিকা নির্বাহ করি।আমার মেয়ে শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী ছদ্মনাম মোসাঃ তন্নি আক্তার মীম।

ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২)দুপুর দেড়টায় ১নং বিবাদী আঃ মন্নান শেখ আমার শিশুকন্যা চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী মীমকে ঘর থেকে ডেকে বরই খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে দিলিপ বাবুর পানের বরজের আড়ালে নিয়ে হাতে বিশটাকা ধরিয়ে দিয়ে জোরপুর্বক পরনের সেলোয়ার-কামিজ ছিঁড়ে ধর্ষনের চেষ্টায় বুকে-ঘাঁড়ে কামড়িয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে।

আমার মেয়ের(মীম) আত্মচিৎকার শুনে স্হানীয়রা গিয়ে উদ্ধার করছেন।মীমের মা ফাহিমা লম্পট মন্নান শেখকে দা নিয়ে তাড়িয়ে বেড়ায়।

অতঃপর:-আমার স্ত্রী ফাহিমা বেগম মীমকে সহ শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশীদ মোল্লার বাড়িতে গিয়ে নালিশ পুর্বক ঘটনার বিচার চান।ঘটনাটি থানার পুলিশ ও সাংবাদিকদের অবগত করেন।সন্ধ্যা ৭টায় সাংবাদিকরা ঘটনাস্হলে পৌঁছে প্রত্যাক্ষদর্শী স্বাক্ষী ও ভিকটিম (মীমের) বক্তব্য রেকর্ড পুর্বক পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন।

ওইদিন রাত ৮টায় পুলিশ ঘটনাস্হলে পৌঁছার আগেই অভিযুক্ত আঃ মন্নান শেখের ছেলে রাজ্জাক শেখ,ডালিম,হারুন সহ বর্নিত বিবাদীরা ভিকটিম মীম সহ আমার পরিবারের ৩জনকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যান।এসময়ে শ্রীপুর গ্রামের চৌকিদার ফকরুল ইসলাম ও সোহেলকে ধারালো রামদা দিয়ে পিঠিয়ে আহত করে ।৫নং বিবাদী কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের বাড়িতে আটকিয়ে রেখে ৩দিন শারীরিক-মানসিক নির্যাতন পুর্বক যৌন নিপীড়ন করছে।

আমি খবর পেয়ে সাগর থেকে গ্রামে ফিরে আসি।গ্রামে আসার সাথে সাথেই ২নং বিবাদী আঃ রাজ্জাক শেখ সহ বর্নিত বিবাদীরা আমাকে জোরপুর্বক ৫নং বিবাদী কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের বাড়িতে নিয়ে যান।কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল বলেন,তুই কি মামলা করবি?নাকি স্ত্রী-সন্তান ফেরত নিবি?!আমি আমার স্ত্রী-সন্তানের নিরাপত্তার স্বার্থে মামলা না করার শর্তই মেনে নিয়াছি।

তারপরে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২) সন্ধ্যা ৭টায় কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেলের নেতৃত্বে কতিপয় সালিশগন বিচারের নামে অভিযুক্তের ৫লাখ টাকা জরিমানা ধার্য্য করে।ভিকটিম মীমের চিকিৎসা খরচ ২০হাজার টাকা।অবশিষ্ট টাকা মীমের ১৮ বছর পুর্নহলে বিবাহের সময় দেয়া হবে।

আমি আমার স্ত্রী-সন্তানদের উদ্ধার পুর্বক আত্মগোপনে চলে আসি।অভিযুক্তদের ভয়ে বাড়ি-ঘরে থাকতে পারছিনা।আমার পরিবারের নিরাপত্তা নেই।পালিয়ে জীবন-যাপন করছি।অর্থাভাবে মামলা করতে পারিনি।

আরও খবর

Sponsered content