সারাদেশ

মেহেন্দিগঞ্জের দক্ষিন উলানিয়ায় নদীভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন

  প্রতিনিধি ৮ জুলাই ২০২৪ , ৪:০২:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মেহেন্দিগঞ্জ (বরিশাল)প্রতিনিধি।।বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে প্রতি বছরই বর্ষায় ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দেয়।ভাঙনে বসতভিটা, ফসলি জমি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ বহু স্থাপনা হারিয়ে যায়।

চলতি বর্ষাতেও উপজেলার ৬/৭ টি ইউনিয়নে ভাঙনের ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।ভাঙ্গনে সরকারী-বেসরকারী স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে কোটি কোটি টাকার অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হলেও তা রোধে কার্যকর তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। বছরের পর বছর ধরে ভাঙনে মানুষ সর্বহারা হলেও এর কোনো স্থায়ী প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

বরিশালের উপকূলীয় এলাকা মেহেন্দিগঞ্জের দক্ষিন উলানিয়া ইউনিয়নের সুলতানী এবং জাদুয়া গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন করেছে কয়েকশ মানুষ।

(৮ জুলাই) সোমবার সকালে দক্ষিণ উলানিয়া ইউনিয়নের জাদুয়া গ্রামে তেতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন কোলে দাড়িয়ে মানববন্ধন করে ভুক্তভোগীরা।সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া মানববন্ধন চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।মানববন্ধনে দাবি আদায়ের ব্যানার হাতে স্থানীয় জেলে-কৃষক ও এলাকার নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেন।

নদীভাঙন প্রতিরোধে স্থানীয় সমাজ কর্মী আরিফ চৌধুরী রিপন এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সৈয়দ আব্দুল লতিফ,বাবলু তালুকদারসহ আরো অনেকে।

বক্তারা বলেন,মেঘনা সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীর ভাঙনে দক্ষিন উলানিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার পুল ব্রিজ,সুপারীর বাগান,ফসলি জমি এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ওই গ্রামে এক সপ্তাহের ভাঙ্গনে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়েছে,হুমকির মুখে পড়েছে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা,লালগঞ্জ বাজারসহ আরও শত শত বসতবাড়ি। অচিরেই ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে গোটা ইউনিয়নটি মেহেন্দিগঞ্জের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে।তাই স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবি তাদের।একই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলার দাবি তোলেন তারা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম মিলন চৌধুরী বলেন,নদীভাঙনে এলাকার মানুষের পথে বসার অবস্থা। প্রতিরোধে উদ্যোগ না নিলে এদের নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন,জাদুয়া এবং পশ্চিম সুলতানি ২৫০মিটার এলাকায় ভাঙ্গনরোধে ৮০ লাখ টাকা ব্যায়ে জিওব্যাগ ফেলা হবে।প্রকল্পের কাজ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content