প্রতিনিধি ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৪:৫৪:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন,মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) যে ১৪ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন,তাঁদের মিয়ানমারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ কথা বলেন।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।তাঁদের অস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে আছে।বিজিবি অবশ্য সন্ধ্যার দিকে জানিয়েছে,মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩৯ জন সদস্য বাংলাদেশে ঢুকেছেন।
বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেখানকার সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘর্ষের তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন,আত্মরক্ষার্থে মিয়ানমারের বিজিপির ১৪ জন বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে সহযোগিতা চেয়েছেন।বিজিবি তাঁদের অস্ত্র জমা রেখে এক জায়গায় রেখেছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, যাতে তারা এঁদের নিয়ে যায়।এ হলো মোটামুটি ঘটনা।
তখন সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন—এখন যে পরিস্থিতি,সেটি বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য কতটা হুমকি বা কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘দেখুন, আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না।আমরা যুদ্ধ চাই-ও না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময়ই আমাদের সেই নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।তার মানে এই নয় যে আমাদের গায়ের ওপর পড়ে যাবে,আমরা ছেড়ে দেব।আমরা সব সময় তৈরি আছি। আমরা সেখানে (সীমান্ত) বিজিবির শক্তি বৃদ্ধি করেছি। আমাদের পুলিশ ও কোস্টগার্ডকেও নির্দেশনা দিয়েছি।যাতে কোনোভাবেই আমাদের সীমানায় কেউ কোনোভাবে অনুপ্রবেশ করতে না পারে।সে ব্যাপারে আমরা খুব সতর্ক আছি। মিয়ানমারে যে যুদ্ধ চলছে,সেই যুদ্ধ কত দিন চলবে আমরা জানি না।আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করে কাউকে আমরা আসতে দেব না।বিজিবিকে আমরা সেই নির্দেশনা দিয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,তারা আত্মরক্ষার্থে এখানে ঢুকেছে।এটা হতেই পারে।মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা যখন ভারতে ঢুকে পড়েছিলাম,মনে আছে না?আমরা তো একজন নয়,কোটি মানুষ গিয়েছিলাম।আত্মরক্ষার্থে ঢুকেছে,তারা যুদ্ধের জন্য ঢোকেনি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন,বিজিপির মধ্যে যারা নাকি সীমান্তের কাছে,তারা যদি এমন আত্মরক্ষার্থে ঢুকে থাকে আমাদের করণীয় কিছু থাকে না।তাদের আবার ফেরত দিতে হবে।আমরা তাদের (বিজিপির সদস্য) আটক রেখেছি,তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেব।