সারাদেশ

মাদারীপুরে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহার দাবিতে অফিস ঘেরাও কর্মসূচি-পালালেন বিদ্যুৎ প্রকৌশলী

  প্রতিনিধি ২৪ মে ২০২৪ , ৫:১০:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মাদারীপুর প্রতিনিধি।।মাদারীপুরের ডাসারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের কারণে গ্রাহকরা বিপদে পড়েছেন। অভিযোগ উঠেছে,প্রতিটি বিলে অতিরিক্ত টাকা যোগ করে দেওয়া হয়েছে।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন গ্রাহকরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলের প্রতিবাদে উপজেলার ডাসার পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে গ্রাহকরা।পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শতাধিক গ্রাহক এ বিক্ষোভে অংশ নেয়।তারা লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেনি।গ্রাহকরা জানান,মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম বরাবর তারা অভিযোগ দেবেন।

জানা গেছে,গত মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিল ঠিক থাকলেও এপ্রিল মাসের বিল তৈরিতে গাফিলতির কারণে গ্রাহকের বিলের কাগজে অস্বাভাবিক বিল তৈরি করে পৌঁছে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।এতে ক্ষুব্ধ হন সাধারণ গ্রাহক।তাই ডাসারের সাব-জোনাল অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিলে ফেটে পড়ে তারা।এ সময় তারা তাদের বিদ্যুৎ বিলের অস্বাভাবিকতার কারণ সম্পর্কে জানতে চায়।তাদের তোপের মুখে পড়ে পালিয়ে যান সংযোগ প্রকৌশলী সুফল কুমার পাল। পরে পুলিশ এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবে সংযোগ প্রকৌশলী সুফল কুমার পাল এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

উপজেলার ডাসার এলাকার মোতালেব কাজী নামের ভ্যানচালক বলেন,তাঁর বাড়ির মিটারে গত মার্চ মাসের বিল এসেছিল এক হাজার ৩১৪ টাকা।এপ্রিল মাসের বিল এসেছে তিনগুণেরও বেশি,চার হাজার ২৯৩ টাকা।দুই হাজার ৯৭৯ টাকা অতিরিক্ত যোগ করে বিল ইস্যু করে পাঠিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।মোরা গরিব মানুষ।ভ্যান চালাইয়া দিন আনি দিন খাই। বিদ্যুৎ বিলের বাড়তি এই দুই হাজার ৯৭৯ টাহা মুই কইত্তোন দিমু।’মোতালেবের কণ্ঠে আক্ষেপ।

উপজেলা ধামুসা গ্রামের রাজ্জাক ঢালী নামের আরেকজন গ্রাহক বলেন,তাঁর মার্চ মাসের বিল এসেছিল ৫৪৫ টাকা। এপ্রিল মাসের বিল এসেছে দুই হাজার ২৭১ টাকা। অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি।সাধারণ গ্রাহক বিদ্যুতের এই ভূতুড়ে বিলের সমাধান চান বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাসার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার তৌহিদুর রহমান বিষয়টি এড়িয়ে যান।

মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ জোনাব আলী বলেন,ডাসারের সংশ্লিষ্ট অফিস বিল তৈরি করে।তারাই বিল আদায় করে।তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অস্বাভাবিক বিলের ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই বলে জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content