রাজনীতি

মাইনাস ফোর বাস্তবায়নের ইউনুসের নয়া কৌশল

  প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৬:১৭:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।তথ্য-উপাত্ত সুত্রটি জানায়,যাঁরা ধর্মকে কর্ম মনে করে,সমাজে তাঁরা ভয়ঙ্কর ও অবিশ্বাসী হয়।আবার যাঁরা ধর্ম ও দালালিকে কর্ম মনে,
তাঁরা আরও ভয়ঙ্কর।

কারণ,এই দালাল শ্রেণিকে ব্যবহার করে এবং দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সমাজ-সভ্যতাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের রেকর্ড যুগ-যুগ ধরে।

১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তান নামে দুটি দেশের স্বাধীনতা লাভ করলেও সমাজের ওইসব দালাল শ্রেণির মানুষজন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বৃটিশদের গোলামী করেছে।

কারণ কি ছিলো?
মূলত,এখানে অর্থকরী,ধন-সম্পদের লোভ কাজ করেছে।

আবার এই দালাল শ্রেণি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীন-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ওই পাকিস্তানের দালালি করতে আলবদর,আলশামস,রাজাকার বাহিনী গঠন করেছিল মাসিক বেতনভুক্ত হয়েছে।

চিন্তা করুন,১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাঁরা বৃটিশদের দালালি করেছে,আবার এই তারাই ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আলবদর,আলশামস, রাজাকার বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানের দালালি করেছে।

পশ্চিমারা বেশ ভালো করে ওইসব দালাল শ্রেণির লোকজন ও তাদের বংশধরদের চেনে ও জানে।

আর তাই ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্ট ওই সব দালাল শ্রেণির পরিবারের সন্তানদের মুখ লুকিয়ে মুখোশ পরিয়ে রাজাকার শাবক ও রাজাকার নাতি-পুতির পরিচয় ঢেকে কথিত সমন্বয়ক সাঁজিয়ে সহজ-সরল বাঙালিকে বোকা বানিয়ে ধোকা দিয়ে একটি আত্মমর্যদার বাংলাদেশ ধ্বংস করে দিয়েছে।

এখন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে,ভবিষ্যত বাংলাদেশ যাতে রাজনীতি শূণ্য হয়ে পড়ে, নেতা ও নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে—দালাল শ্রেণি ও তাদের সন্তান, নাতি-পুতিদের ব্যবহার করে মাইনাস ফোর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনেক দূর এগিয়েছে।

একান্ত বিশ্বস্ত সুত্র বলছে,ইনফেকশন হওয়া ঝুঁকি আছে জানার পরেও কেন খালেদা জিয়াকে সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে নেওয়া হলো?কেন একেএকে অনেকের সাথে খালেদা জিয়ার স্বাক্ষাৎ করানো হলো?কেন ইউনূসের চেয়ার খালেদা জিয়ার চেয়ার ঘেঁষে লাগানো হলো—এসব প্রশ্নের উত্তরের মাঝেই লুকিয়ে আছে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর রহস্য। হত্যার ষড়যন্ত্র।

কারণ,সশরীরে খালেদা জিয়া বাংলাদেশেই আছেন।

অন্যদিকে গভীর ষড়যন্ত্র করে দেশের বাইরে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন শেখ হাসিনাকে।শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কেও সশরীরে দেশে আসতে দিচ্ছে না।

আবার মুচলেকা দিয়ে তারেক রহমানও লন্ডনে অবস্থান করছেন।তার দেশে ফেরা শতভাগ অনিশ্চিত।

কারণ,উইকিলিকসের ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে তারেক রহমানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির বিষয়টিও ইদানিং বার বার সামনে আনা হচ্ছে।আমিও ব্যক্তিগতভাবে নিশ্চিত হয়েই বলছি,যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন না হলে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারবেন না।

আর সিআইএ এবং আইএসআই এখন বাংলাদেশের রাজনীতির কলকাঠি নাড়া-চাড়া করছে। বলা চলে,তারেক রহমানের বাংলাদেশে আসা নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়ার ওপর।

এদিকে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার মধ্যেও দেশে ফেরার বিষয়ে ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’ বলে শনিবার (২৯ নভেম্বর,২০২৫) ফেসবুক স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেন ব্রিটেনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও এদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আবার,সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন,বাংলাদেশের বড় দুটি দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে একটি অগণতান্ত্রিক তৎপরতা রয়েছে,দুই দলেরই নেতৃত্ব পরিবর্তনে ‘বিদেশ থেকে একটা খেলা চলছে’।

সশরীরে শেখ হাসিনা,সজীব ওয়াজেদ জয়,তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না।আর খালেদা জিয়া অসুস্থ।আর এই অসুস্থতার শেষ পরিণতি জেনেই পরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়ার আজকের পরিস্থিতি তথা মৃত্যু নিশ্চিত করা সম্ভব হলে অন্য তিন জনের সাথে খালেদা জিয়াও যুক্ত হয়ে মাইনাস ফোর প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

তবে,এই মৃত্যুর ষড়যন্ত্র আড়াল করার জন্য নানা রকম মঞ্চায়নও করবে ডিপ স্টেটের দালাল দখলদার ইউনূস। কারণ,জনগণ সহ বিএনপির দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়াই তাদের এখন মূল কাজ।

আর এই বিএনপি অল্পকিছুই শুয়ে পড়ে—এটি দালাল শ্রেণির লোকজন ভালো করেই জানে।

তাই,মাইনাস ফোর বাস্তবায়নের জন্য খালেদা জিয়া সহ বিএনপিকে নানা রকম সুযোগ-সুবিধাসহ খ্যাতির সাগরে ভাসিয়ে দেবে।আর দখলদার ইউনূস ভেতরে-ভেতরে তার উপর অর্পিত নীল-নকশা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে।

আরও খবর

Sponsered content