সারাদেশ

ময়মনসিংহ বিআরটিএ অফিসে কথিত স্পীড গর্ভনর সিল মেকানিক এম.কামাল উদ্দিন ও সহকারী সিল মেকানিক বিজন চন্দ্র সরকার

  প্রতিনিধি ২২ অক্টোবর ২০২২ , ১:০৪:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।ময়মনসিংহে বিআরটিএ অফিসের অঘোষিত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন ও বিজন সরকার এরা কারা সেবা নিতে আসা লোকজন অতিষ্ঠ তাদের কাছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কার্যালয়ে দুই ব্যক্তি কথিত নিয়োগে চাকরী বিধি লঙ্গন করে অঘোষিত কর্মকর্তা সেজেছেন। তারা হলেন- কথিত স্পীড গর্ভনর সিল মেকানিক এম.কামাল উদ্দিন ও সহকারী সিল মেকানিক বিজন চন্দ্র সরকার।

অভিযোগ উঠেছে, ওই দুই ব্যক্তি সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী না হয়েও বিআরটিএ কার্যালয়ে নিয়মিত অফিস করছে। ফাইলের স্তুপ সামনে নিয়ে অফিস কর্তাদের মতই নির্দ্দিষ্ট চেয়ার-টেবিলে বসে তারা হাকঢাক ছুড়ে টঠস্ত রাখছেন সেবা গ্রাহীতাদের।অনেকটা মগের মুল্লুকে পরিণত করেছেন বিআরটিএ অফিস । সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিরা থাকলেও অনেক কিছুই চলে এই দুই ব্যক্তির অঙ্গুলি হেলনে। যখন যে কর্মকর্তা যোগদান করেন তাদের প্রত্যক্ষ মদদে চলেন তারা।

ময়মনসিংহ বিআরটিএ অফিসের আঞ্চলিক কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। জানতে চাইলে কামাল উদ্দিন বলেন, বিগত প্রায় পনের বছর ধরে আমি এই অফিসে স্পীড গর্ভনর মেকানিক হিসেবে কাজ করছি। অফিস কর্তারাই আমাকে নিয়োগ নিয়েছেন। আমার মত বিজন চন্দ্র সরকারও সহকারী স্পীড গর্ভনর মেকানিক হিসেবে কাজ করছে। তবে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বিজন চন্দ্র সরকারের কোন বক্তব্য জানা যায়নি।

সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ, সেবা গ্রহীতাদের প্রশ্ন! বিআরটিএ মতো একটি গুরুত্বপুর্ণ কায্যালয়ে ২০-২৫ বছর ধরে সহকারী পরিচালকের অনুমতির চাকরিতে কিভাবে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অথচ বিআরটিএ অফিসে বিভিন্ন সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে দালালদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোট পরিচালনা করলেও কিন্তু অফিসের দুর্নীতি বাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেন নিতে পারেনা?

এছাড়াও সরকারের সেবামূলক এই প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে আবেদন করে হয়রানিমুক্ত সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে এর কোন নজির নেই বলেও জানান একাধিক ভুক্তভোগী। দুই ব্যক্তির নিয়োগ বিষয়ে জানতে বিআরটিএ ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এএসএম ওয়াজেদ হোসেনর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল খবিরুল বলেন, আমি আসার আগে থেকেই তারা অফিসে কাজ করে। শুনেছি বিজন কামাল উদ্দিনের লোক।

এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, তারা আগে থেকেই এই অফিসে কাজ করে। তাদের সরকারী কোন নিয়োগ নেই, তবে কাজ করতে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানি। বিষয়টি সহকারী পরিচালক ভালো বলতে পারবে।

আরও খবর

Sponsered content