অপরাধ-আইন-আদালত

মঠবাড়িয়া থানায় আটকিয়ে আমুয়া কলেজের ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা!

  প্রতিনিধি ১০ জুন ২০২৩ , ৯:৩৯:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।পিরোজপুরে মঠবাড়িয়ার থানায় কলেজ ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ থানার সাবেক ওসি নুরুল ইসলাম বাদলের বিরুদ্ধে।https://www.facebook.com/100069243800893/videos/1902857433448039/?app=fbl

এঘটনার অডিও-ভিডিও রেকর্ডসহ পুলিশ মহাপরিদর্শক(আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ভিকটিম। তবে সাংবাদিকদের টেক্সট ম্যাসেজ ও মুঠোফোনে ভিকটিম ছদ্মনাম সালমা জানান ওসি নুরুল ইসলাম বাদল সেবাপ্রার্থীকে শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিয়েছে।

ভিকটিমের কাগজপত্র ও অডিও রেকর্ড সহ বিভিন্ন প্রমানাদি সুত্রে জানাগেছে:-ভিকটিম সালমা(আমি) জানান ঝালকাঠির আমুয়া ডিগ্রী কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।তাকে ও তার ভাইকে স্হানীয় এক আদম ব্যবসায়ী সৌদি আরবে ভিসা ও চাকরির দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১শ টাকার ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি স্বাক্ষর করে ৭লাখ ১৭হাজার নিয়েছে।এবং ভিসা কনফার্ম করতে আরোও ৩লাখ টাকা নিয়েও অভিযোগকারী সালমা ও তার ভাইকে সৌদি আরবের ভিসা ও চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান করে টাকা নিয়ে প্রতারণা করছে।

একাধিকবার টাকা চাইলেও না দেওয়ায় গতবছরের ২৫ মে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানায় উপস্থিত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।উক্ত অভিযোগটি ডিউটি অফিসার এএসআই ফিরোজ ওসি নুরুল ইসলাম বাদলের কাছে উপস্থাপন করলে অভিযোগকারী সালমাকে একা কক্ষে রেখে এএসআই ফিরোজ সরিয়ে দিয়ে সালমাকে একা পেয়ে কুঃপ্রস্তাব দেন ওসি নুরুল ইসলাম বাদল।এরপরে ওসি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ডেস্কে নিয়ে অভিযোগকারীকে আটকিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিলে অভিযোগকারী প্রতিবাদ করলে সাথে যাওয়া এক নারী জানালা দেখে ফেলে।ওসির চোখে চোখে নজর পড়লে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।তারপর অভিযোগকারী বাসায় চলে যান।

স্ট্যাটাস


এরপরে ওসি প্রতিনিয়ত বাদীনির কাছে মোবাইল ফোনে কল করে অশ্লীল ভাষায় যৌন হয়রানিমুলক কথাবার্তা বলে যা কারো ভাষায় প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসম্ভব।যৌন হয়রানিমুলক কথাবার্তার অডিও রেকর্ড গন্যমাধ্যম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বাদীনির অভিযোগ আমলে না নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে আঁতাত করে আপোষ রফা করতে উভয়পক্ষকে থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন তৎকালীন ওসি নুরুল ইসলাম বাদল। তার কয়েকদিন পর এএসআই ফিরোজ নোটিশ জারি করেছে। উভয় পক্ষই থানায় হাজির হওয়ার আগেই আদম ব্যবসায়ী সৌদি আরবে চাকরি দেয়া কথা বলে ৭লাখ ১০৭হাজার টাকা পূর্বক স্বীকার করেছেন।নগদ অর্থ ২লাখ টাকা ও মানি অর্ডার চেকের মাধ্যমে ৫লাখ স্বীকার করেছেন। সর্বমোট ৭লাখ টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।তিন লাখ টাকা খরচ বাবদ ব্যয় হয়েছে।তা দেয়া হবে না।

বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি


পুলিশ বাদিনীকে জানান,থানায় এসে আপোষ রফা করতে হবে। এরপরে থানায় গেলে ওসি’র অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রচন্ড ক্ষেপে গিয়েছিল।অভিযুক্ত আদম ব্যবসায়ীকে টাকা দিতে নিষেধ করেছেন।

অভিযোগকারী সালমাকে ওসি নুরুল ইসলাম বাদল জানান, আমি তোমার টাকাগুলো তুলে পারি,যদি তুমি আমাকে খুশি করতে পারো।এরপরে বাদীনির অভিযোগ তিনি ওসি নুরুল ইসলাম বাদলের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে যায়,প্রতারণার অভিযোগে একজনকে আটক করে ছেড়ে দিলেও ওসি নুরুল ইসলাম বাদলের সঙ্গে দেখা না করে এএসআই ফিরোজ সঙ্গে দেখা করে আলোচনা সাপেক্ষে চলে আসতেন। নারী পুলিশ কর্মকর্তা লাবনী আক্তার ভিকটিমের সহযোগিতা করতে চাইলেও পারেনি!

বাদীনির অভিযোগ আমলে না নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে আঁতাত করায় গতবছরের ২৩ আগষ্ট পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি)’র কাছে অভিযোগ করেন।পুলিশ সুপার দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ১ সেপ্টেম্বর উভয়পক্ষকে থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।পুলিশের নির্দেশনা মানতে থানায় হাজির হওয়ার পর আদম ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বাদিনীকে পুলিশ সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে থানা চত্বরে কুপিয়ে জখম করে সোনার অলংকার,দামী মোবাইল ফোন,নগদ অর্থকরী ছিনিয়ে নেয়।

এঘটনায় পরদিনই ৩জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বাদিনীর বাবা।ঘটনার প্রমানাদি থাকলেও পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে ২ মাস ৮ পর মামলা রুজু করেছেন।

ওইথানার ওসি নুরুল ইসলামকে খুশি করতে না পারায় বাদিনীকে হয়রানি করে পুলিশ।পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কাশেমকে ৫হাজার টাকা দিলেও আসামির কাছ মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।হত্যা উদ্দেশ্য কুপিয়ে জখম ও ছিনতাই সত্ত্বেও আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ না করে আদম ব্যবসায়ীকে বিদেশে যেতে সহায়তা প্রদান পুলিশ।বাদিনীকে পুলিশ ও আসামীরা ব্লাকমেইল করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এরপরে ভিকটিমের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে আক্রমণাত্মক এডিটিং ছবি ও অশ্লীল পর্নো ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে।
এঘটনায় পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মামলা নং ৯৬/২০২২ পুলিশের উপপরিদর্শক আবুল কাশেম আসামির কাছ থেকে ৩লাখ টাকা ঘুষ বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন বাদিনী সালমা।

এঘটনার অডিও রেকর্ড ও ভিডিওচিত্র সহ বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান এর কাছে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রমানিত হওয়ায় সাবেক ওসি নুরুল ইসলামকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় বদলী করা হয়েছে।ভিকটিমকে আইনী সহায়তা প্রদান না করে পুলিশ ও প্রশাসন অভিযুক্তদের সাথে আপোষ রফা করতে চাপ প্রয়োগ করছে।

চলতি বছরের ২৪ মে থেকে জাতীয় দৈনিক সমকাল পত্রিকার সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এই অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি!তবে পিরোজপুর থানার সাবেক ওসি নুরুল ইসলাম বাদল অনলাইন নিউজ পোর্টাল “বিডিস ক্রাইম বার্তা’র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বাদিনীকে উস্কানি দিচ্ছে!বাদিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ না করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করতে সহায়তা প্রদান করে।বাদীর ঘটনা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট। লন্ডন প্রবাসী এক বিএনপির নেতা সাবেক ওসি নুরুল ইসলামকে ফাঁসানো ওই কলেজের ছাত্রীকে দিয়ে মিথ্যা অপবাদে পুলিশকে হয়রানি করছে।

ভিকটিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ পূর্বক বলেন,আমি একজন “মা মরা এতিম সন্তান” হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে করজোড়ে আবেদন করছি, আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনার একান্ত সুদৃষ্টি কামনা করছি।তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সমাজের সকল পেশার মানুষের কাছে করজোড়ে বিনীত অনুরোধ জানান,তাকে রক্ষার্থে আইনী সহায়তা প্রদান করে অভিযুক্তদের উপযুক্ত সাজাও দাবি করেছেন।

এব্যাপারে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,ঘটনাটি তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে।দ্রুত প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।ভিকটিম সাপোর্ট না পেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছেন।

এবিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি, সাংবাদিকদের বলেন-অভিযোগটি তদন্ত চলছে।অডিও ক্লিপ শুনে মনে হচ্ছে, জঘন্য অপরাধীদের ভয়ংকর পুলিশ কর্মকর্তা! বিষয়টি বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ের তদন্ত সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই ওসিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

বিস্তারিত আসছে——ধারাবাহিক চলবে

আরও খবর

Sponsered content