প্রতিনিধি ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৮:৪১:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন হিসেবে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।এসব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলবের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পাঁচ মিনিটের বৈঠক,কড়া বার্তা ঢাকার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়,সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত হন এবং পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম-এর দপ্তরে প্রবেশ করেন। পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি মন্ত্রণালয় ত্যাগ করেন।এই স্বল্প সময়ের বৈঠকেই বাংলাদেশ সরকার তাদের কড়া অবস্থান স্পষ্ট করে।
নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়ির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,বাংলাদেশ সরকার ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রাঙ্গণ ও আবাসস্থলের বাইরে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে উগ্রপন্থি গোষ্ঠীর ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এছাড়া ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভ ও উসকানিমূলক কার্যক্রমকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করা হয়।
কূটনৈতিক নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর অবস্থান
বাংলাদেশ সরকার বলেছে,এ ধরনের হামলা শুধু কূটনৈতিক স্থাপনার জন্য হুমকি নয়,বরং এটি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সহনশীলতার আন্তর্জাতিক মূল্যবোধের পরিপন্থি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারের কাছে—
ঘটনাগুলোর পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত,
দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা,
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ,
এবং ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সকল কূটনৈতিক মিশন ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ
বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক সম্পর্ক সংক্রান্ত ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনৈতিক কর্মী ও স্থাপনাগুলোর মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষায় স্বাগতিক দেশের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাশা প্রকাশ করেছে,ভারত সরকার তাৎক্ষণিক ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কূটনৈতিক দায়বদ্ধতার প্রতিফলন ঘটাবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সম্মান বজায় রাখবে।

















