জাতীয়

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে-

  প্রতিনিধি ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৪:০৩:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন,চলতি বছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে‌।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

সরকার কেন বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায়,তা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে যে,আমরা যে জ্বালানি ব্যবহার করি,সেটার প্রাইসিংয়ের (মূ্ল্যের) ওপর বিদ্যুতের দাম নির্ভর করে এবং আমরা কয়লা যখন…নিয়ে আসছি, সেই সময় ডলারের যে ভ্যালু আর কয়লার যে দাম ছিল, তার থেকে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। পার (প্রতি) ডলারে প্রায় ৪০ টাকা ডিফারেন্স হয়ে গেছে; মানে বেশি।আমরা ৭০ থেকে ৮০ টাকা ধরে ডলারের ভ্যালু করছিলাম,যখন কোল পাওয়ার প্ল্যান্ট ছিল।’

ডলার কিনতে বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে জানিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমাদের (প্রতি ডলার) ভ্যালু ১১০ টাকা; সরকারি।বেসরকারি তো আরও বেশি।সুতরাং এই যে, প্রাইসের মধ্যে যে একটা পার্থক্য,গ্যাপ,এই গ্যাপটাকে আমাদের সমন্বয় করতে হবে।আমরা প্রাইস ইনক্রিজ (মূল্য বৃদ্ধি) কখন বলব?যদি আমাদের অ্যাট পার প্রাইস ব্রেক ইভেন থেকে প্রাইস আমরা বাড়িয়ে দিই,তাহলে সেটাকে ইনক্রিজ বলা যায়,কিন্তু যখন আমরা জ্বালানির সাথে সমন্বয় করতে চাব,সব দেশেই তা করে।

‘যেকোনো দেশে যান,জ্বালানির প্রাইসিংয়ের ওপর বিদ্যুতের দাম ওঠানামা করে।সুতরাং ওইটার সাথে আমাদের সমন্বয় করতে হবে।এ ছাড়া উপায় নাই।’

ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম কী পরিমাণ বাড়ানো হবে,তা নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা এখন যে কাজটা করতেছি, খুবই অল্প পরিমাণে, ৩৪ পয়সা পার ইউনিট,একটা নিচের লেভেলে যা আছে।আমাদের লাইফ লাইন গ্রাহক আছে প্রায় এক কোটি ৪০ লক্ষ।তারা (প্রতি ইউনিটে) চার টাকা করে দেয়।আর ওপরের দিকে যারা আছেন,তাদের সাত টাকা করে চার্জ হয়,কিন্তু আমাদের উৎপাদন খরচ পড়ে ১২ টাকায় এভারেজ।

‘সরকার একটা বড় অংশ কিন্তু এখানে ভর্তুকি হিসেবে অ্যাডেড (যুক্ত) হচ্ছে।এই ভর্তুকির পরিমাণ আরও বেশি বাড়ছে বিকজ অফ প্রাইসিং অফ দ্য ডলার (ডলারের বাড়তি মূল্যের কারণে)।ডিফারেন্সটা হয়ে গেছে এবং এই ডিফারেন্সটা হওয়াতে বিরাটভাবে জাম্প করছে গত বছর থেকে।’

বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন,আমরা যদি সময়মতো একটা অ্যাডজাস্টমেন্টে (সমন্বয়) না যাই আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে,আমাদের টার্গেটেড হলো আগামী তিন বছর আমরা এটাকে সমন্বয় করব এবং যাতে কিনা একটা সহনীয় পর্যায় থেকে সমন্বয়টা হয়,সেটার একটা ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।আমরা যে যাচ্ছি অল্প অল্প করে ৩৪ পয়সায়। ওপরের লেভেলে হয়তো ৭০ পয়সা,এ রকমভাবে আমরা প্রাইসিংটাকে রিঅ্যাডজাস্টমেন্ট (পুনঃসমন্বয়) করতেছি।’

বিদ্যুতের দাম বাড়ার সময় ও জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘এটা আমরা চাচ্ছি মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে এটা শুরু হবে এবং পরবর্তী সময়ে হয়তো দুই-তিনবার আমরা এই অ্যাডজাস্টমেন্টটা অল্প,ধীরে ধীরে যাব এবং আমাদের তেলের ব্যাপারেও মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে অ্যাডজাস্টমেন্ট শুরু হবে আমাদের ফাইন্যান্স মিনিস্ট্রির সম্মতিক্রমে আমরা ডায়নামিক প্রাইসিংয়ে (চলতি বাজারে চাহিদার ভিত্তিতে পণ্যের দাম নির্ধারণ) যাচ্ছি।

‘ডায়নামিক প্রাইসিংও একই অবস্থা।যদি ওয়ার্ল্ড মার্কেটে (বিশ্ববাজার) ক্রুডের (অশোধিত জ্বালানি তেল) দাম বাড়ে, সেটার সঙ্গে অ্যাডজাস্টমেন্ট হবে।যদি ওয়ার্ল্ড মার্কেটে ক্রুডের দাম কমে,সেটার সাথে অ্যাডজাস্টমেন্ট হবে।সুতরাং এখন থেকে বলা যায় যে, বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ভর্তুকি থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য আমরা প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্টে যাচ্ছি,সমন্বয় করতে যাচ্ছি।’

আরও খবর

Sponsered content