জাতীয়

বিভিএ’র নেতারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে এক পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন

  প্রতিনিধি ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৪:৪৬:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন প্রণয়নের উদ্যোগের বিরোধিতা করে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিভ্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের ( বিভিএ) নেতারা।সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে এক পর্যায়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন তারা। এমনকি সাংবাদিকদের প্রশ্নে আয়োজকদের একজনের আপত্তিকর মন্তব্যে উত্তেজনাও দেখা দেয়।আইন প্রণয়নের উদ্যোগকে দেশবিরোধী হিসেবে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশিদের বিচারের দাবিতে করা এ সংবাদ সম্মেলনে সরকারি গাড়ি হাঁকিয়ে কয়েকজন কর্মকর্তার আগমনও আলোচনার জন্ম দেয়।

 

বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল আইন প্রণয়নের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।নিরাপদ প্রাণিজাত খাদ্য উৎপাদন, রপ্তানি বাড়ানো, পশু পালনের সঙ্গে জড়িতদের আইনি সুরক্ষা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে যুগান্তকারী এ আইনকে স্বাগত জানিয়েছে এ খাতের রংশ্লিষ্টরা। তবে আইনটির বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন (বিভিএ)।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে নতুন আইনের বিরোধিতার যুক্তিসঙ্গত কারণও তারা উপস্থপনা করতে পারেননি।ঘুরে ঘুরে ফিরে তাদের জবাব ছিল,এক আইন থাকতে আরেক আইনের দরকার নেই।এটি দেশ বিরোধী,রাষ্ট্রদ্রোহী সিদ্ধান্ত।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আধিপত্য বিস্তারসহ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানার ব্যবহার করে নেতারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে বলে অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনের মহাসচিব হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন,এগুলো সত্য নয়।প্রাণিসম্পদ খাতে আমরা কোনো প্রভাব বিস্তার করি না।উন্নয়নের স্বার্থেই আইনের বিরোধিতা করছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে আয়োজকদের একজন একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদককে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।অনুষ্ঠান শেষে এ নিয়ে উত্তেজনাও দেখা দেয়।মন্ত্রণালয়ের সচিবের বিচার দাবির এই কর্মসূচিতে সরকারি গাড়ি হাকিয়ে অধিদপ্তরের ‘পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ’ প্রকল্পের পরিচালক ডা. অমর জ্যোতি চাকমাসহ একাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন,পশু পালন ও জাত উন্নয়নে অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিগ্রিধারীদের বড় অবদান আছে। কিন্তু তাদের জন্য নেই কোনো কাউন্সিল।অথচ প্রাণিসম্পদ খাতে ভেটেরিনারি কাউন্সিল আছে।এ কারণে নতুন কাউন্সিল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে একচেটিয়া আধিপত্য খর্বের আশঙ্কা করছেন প্রভাবশালীরা।তারা আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছেন।

আরও খবর

Sponsered content