অপরাধ-আইন-আদালত

বিচার ও আইন প্রয়োগে চরম ব্যর্থতা: নিরীহ মানুষের উপর ন্যায়ের অবহেলা

  প্রতিনিধি ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৮:৫০:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

বিচার ও আইন প্রয়োগে চরম ব্যর্থতা: নিরীহ মানুষের উপর ন্যায়ের অবহেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিচার ও আইন-প্রয়োগ ব্যবস্থায় এক গভীর বৈষম্য ও রাজনৈতিক পক্ষপাত দৃশ্যমান। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের খালাস,বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামিদের খালাস,এবং ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত বিচারে সাজাপ্রাপ্ত সকল আসামিদের খালাস—এসব ঘটনা প্রমাণ করছে কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতার প্রভাব।

কিন্তু এই দেশের সাধারণ নাগরিকরা,যারা কোনো রাজনৈতিক অপরাধে জড়িত নয়,তাদের ওপর চালানো হয় জঙ্গী ও ফ্যাসিস্ট চিহ্নিতকরণের কুৎসিত চক্রান্ত।বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে:

পুলিশ-সাংবাদিক,সেনাবাহিনী,কবি-সাহিত্যিক,লেখক-কলামিষ্ট, বিচারকসহ ৫৬,০০০-এরও অধিক নিরীহ মানুষকে সরকারী অনুশাসনের নামে দীর্ঘ ১৬–১৭ মাস জেলে রাখা হয়েছে।

হাদী হত্যার ঘটনায় দেখা গেল,প্রকাশ্যে দিব্যালোর মাঝে, জনবহুল নগর এলাকায় ফিল্ম-স্টাইল অ্যাকশন,রিকশার পিছনে ধাওয়া করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া—যা সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতার সাক্ষ্য।

এদিকে ফয়সাল করীম মাসুদের জামিনও সম্ভব হয়নি সরকারের উচ্চ-মহলের ইশারা ব্যতীত,যা স্পষ্টতই বিচার ব্যবস্থার ওপর রাজনৈতিক প্রভাবের প্রমাণ।

সরকারের আইন-প্রয়োগকারী সংস্হাগুলো নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ থেকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও ন্যায়ের প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করছে।এই পরিস্থিতি স্পষ্ট করে যে—দেশের বিচার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাজনৈতিক প্রভাব এবং ক্ষমতার দখলের কারণে সীমাবদ্ধ এবং সাধারণ নাগরিকদের প্রতি ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা কার্যত শূন্য।

দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় গুরুতর সংস্কার প্রয়োজন।নিরীহ মানুষের নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার রক্ষা না করা হলে,গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার ব্যবস্থা চরম সংকটের মুখে পড়বে।

আরও খবর

Sponsered content