প্রতিনিধি ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৫:২০:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক।।বাগেরহাট ও গাজীপুরের সীমানা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।রায়ে বলা হয়েছে,বাগেরহাটের সংসদীয় আসন চারটি ও গাজীপুর পাঁচটি আসন থাকবে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ সংক্রান্ত পৃথক চারটি লিভ টু আপিল খারিজ করে এ আদেশ দেন।

আজকের এ আদেশের ফলে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল হলো এবং গাজিপুরের একটি আসন কমে গেল বলে জানান আইনজীবীরা।
আদালতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান,সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী।সরকার জাবেদ আহমেদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বাদল এবং সালাহ উদ্দিন সরকারের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান শুনানি করেন।আর রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। হাফিজুর রহমানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
এর আগে গেল ১০ নভেম্বর বাগেরহাটের সংসদীয় আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি এবং গাজীপুরের পাঁচটি থেকে বাড়িয়ে ছয়টি নির্ধারণ করে জারি হওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রজ্ঞাপনকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।এ সংক্রান্ত রিটের রায়ে আদালত একইসঙ্গে আগের সীমানা অনুযায়ী বাগেরহাটে চারটি এবং গাজীপুরে পাঁচটি আসন বহাল রাখতে ইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তার আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল করতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না,তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন হাইকোর্ট।একইসঙ্গে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করে নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না,রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।সেদিন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল।সে অনুযায়ী বাগেরহাট-১ ছিল চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট; বাগেরহাট-২ ছিল বাগেরহাট সদর-কচুয়া; বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই তিনশ’ আসনের সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করে ইসি। যেখানে ৩৯টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন ছাড়াও ভোটার ও জনসংখ্যার সামঞ্জস্য আনতে বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়ে তিনটি এবং গাজীপুরে একটি বাড়িয়ে ছয়টি নির্ধারণ করা হয়।এরপর দাবি-আপত্তির শুনানি শেষে ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে।সেখানেও বাগেরহাটে তিনটি এবং গাজীপুরে ছয়টি আসন করার আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। এছাড়া ১৪টি আসনে ৪২টি আসনে পরিবর্তন আনা হয়।

















