সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের ইতিহাসে বিএনপি হলো ঠান্ডা মাথার খুনীর দল—!

  প্রতিনিধি ২৭ অক্টোবর ২০২৫ , ৪:৪১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।।বাংলাদেশের ইতিহাসে বিএনপি হলো ঠান্ডা মাথার খুনীর দল।বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র সৃষ্টির সাত বছর পর জন্ম হয়েছে বিএনপির ১৯৭৭ সালে জিয়া প্রথম জাগদল করেছেন।।পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে জাগদলের নাম দিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।প্রায় ১৬ বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলো।

বঙ্গবন্ধুকে ১৫ ই আগষ্ট সপরিবারে হত্যা করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১০ ই নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছেন।বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জিয়া ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ট্যাংক দিয়ে রাষ্ট্র শাসন করেছেন।ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মাত্র দুই বছরে ১৪শ ৪৩ জন সামরিক কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন।এমনকি যেই তাহের জিয়ার জীবন রক্ষা করেছিল তাকেও মাত্র ১ মিনিটের রায়ে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছিলেন জিয়া।স্বৈরাচারী জিয়াউর রহমান তার সাজা পেয়েছে।আদালত তার রায়ে বলেছে,জিয়া ছিল ঠান্ডা মাথার খুনী।” বাংলাদেশের ইতিহাসে বিএনপি হলো ঠান্ডা মাথার খুনীর দল।

১৯৮১ সালের ৩০ শে মে জিয়ার মৃত্যুর দশ বছর পর অলৌকিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় মাত্র ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে বিএনপি সরকার গঠন করে।কিন্তু ক্ষমতায় থাকার যেই স্বাদ তা কিছুতেই ছাড়তে চাইছিলেন না খালেদা জিয়া।খালেদা জিয়া যে বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হোন সেই বছর শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেন।১৯৯১ সালে শেখ হাসিনা ধানমন্ডি স্কুলে ভোট দিতে গেলে তাকে হত্যার জন্য ২০- ২৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে বিএনপি নেতা ওয়াহিদের নেতৃত্বে বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসীরা।১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদি স্টেশনে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসীরা।১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা যখন রাসেল স্কয়ারে ভাষণ দিচ্ছেন তখন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে খালেদা জিয়ার বিএনপি ও জামায়াত।শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে না পেরে ১৯৯৬ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি কোন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই খালেদা জিয়া একতরফা নির্বাচন করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের খুনি রশিদকে এমপি নির্বাচিত করেন।১৯৯৬ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামীলীগের সমাবেশে বোমা ও গুলিবর্ষণ করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে বিএনপি ও জামায়াত।অথচ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পাঁচ বছরে একটিবারের জন্যও খালেদা জিয়াকে হত্যার জন্য একটি গুলি ছুড়েননি শেখ হাসিনা।

২০০১ সালে আবার আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে বিএনপি ও জামায়াত।খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েই মাত্র এক বছরের মাথায় ২০০২ সালের ৪ মার্চ সিলেটে যুবদল ক্যাডার খালিদকে দিয়ে শেখ হাসিনার গাড়িতে গুলি করে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।একই বছর খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা করে তাকে হত্যার চেষ্টা করে খালেদা জিয়ার বিএনপি ও জামায়াত।এর মাত্র ২ বছর পর বরিশালে শেখ হাসিনাকে বহনকারী গাড়িতে গুলিবর্ষণ করে বিএনপি ও জামায়াতের ক্যাডাররা।তাতেও শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলে খালেদা জিয়ার সম্মতিতে তারেক জিয়ার হাওয়া ভবনে বসে জামায়াত নেতা ও পাকিস্তানের আইএসআই মিলে বিএনপির মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনকে দিয়ে গ্রেনেড সরবরাহ করে হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানকে দিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।এতে শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে ২৪ জন আওয়ামীলীগ নেতা নিহত ও ৫০০ আওয়ামীলীগের কর্মী সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়।অথচ শেখ হাসিনা গত ১৬ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকেও একটিবারের জন্যও খালেদা জিয়াকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যার চেষ্টা করেননি। শেখ হাসিনা আসলেই খুব বোকা।বোকা না হলে মানুষ তার শত্রুকে এইভাবে বাঁচিয়ে রাখে।।

খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার শেখ হাসিনা করেননি।২০০৭ সালের ৩ রা সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ও তার ছেলে খাম্বা তারেককে বিভিন্ন দূর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। খাম্বা তারেক বিভিন্ন দূর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে মুচলেকা দিয়ে লন্ডন পালিয়ে গেলেও আটকে যান খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট তথা এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।অথচ কিছু আহম্মক দোষ দেয় শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হয়ে একজন নাগরিক হয়ে সেসব মামলা চলমান রেখেছেন,যা দেশের নাগরিক হয়ে তার নৈতিক দায়িত্ব।খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করবেন , পরপর তিনবার দূর্নীতিতে হ্যাটট্রিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবেন এসব দায় শেখ হাসিনা কেন নিবেন?

শেখ হাসিনার ১৬ বছরে পদ্মা সেতু,মেট্রোরেল ,তৃতীয় বিমানবন্দর টার্মিনাল,বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট,বঙ্গবন্ধু টানেল , রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ,দুটো বিশাল সমুদ্র সহ অনেক কিছুই বাঙালি জাতি উপহার পেয়েছেন। বাংলাদেশের ১৪ লাখ গৃহহীন ঘর পেয়েছেন।বিএনপি ও জামায়াতের ১৬ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেশের মানুষ হত্যা ও জ-ঙ্গী সন্ত্রাস ছাড়া আর কি পেয়েছেন ?

যারা ভাবেন,আওয়ামীলীগকে ছাড়া যেন তেন নির্বাচন করে বিএনপি ও জামায়াতকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেন তারা বোকার স্বর্গে আছেন।২০০৬ সালেও এক কোটি ভুয়া ভোটার করে খালেদা আজীবনের জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকতে চেয়েছিলো কিন্তু তিনদিনও টিকতে পারে নাই।১৯৯৬ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি ও আওয়ামীলীগ ছাড়া নির্বাচন করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিল। কিন্তু ১৫ দিনও ক্ষমতায় থাকতে পারে নাই।বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের জন্মই হয়েছিল শুধু সুবিধা লোটার জন্য। এইজন্য আজ তারা টেম্পু স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজ।বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের কোন অবদান ছিলো না।আর জামায়াত ছিল স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার।

আরও খবর

Sponsered content