সারাদেশ

বরিশাল ল কলেজের অধ্যক্ষের উপর সন্ত্রাসী হামলায় আহত-৬

  প্রতিনিধি ১০ জানুয়ারি ২০২৪ , ৮:৪৫:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।বরিশাল ল কলেজে ছাত্রলীগের কর্মীরা কলেজ কমিটির সভাপতি,অধ্যক্ষকে মারধর-লাঞ্ছিত করেছে।এছাড়া হামলাকারীরা শিক্ষকসহ তিন শিক্ষার্থীকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর হাসপাতাল রোডে ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ।

 

এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন কলেজের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন। ঘটনার পরপরই ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর, সাবেক প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল ইসলাম লিটুসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

 

কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা জামান বলেন, ‘সন্ধ্যায় কার্যালয়ে ঢুকেই ২০-৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী তাঁর ঘাড়ে একটি থাপ্পড় মারে। ক্লাসে ঢুকে জসিম স্যারকে মারধর করে। ছাত্র-ছাত্রীদের মারধর করা হয়েছে। কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলায় নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরেছে। তাঁদের শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মোবাইল ফোন ছিনতাই করা হয়েছে। বিবস্ত্র করা হয়েছে সভাপতিকে। এ সময় কলেজের জিনিসপত্রও ভাঙচুর করা হয়েছে।’

 

ল কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘মঙ্গলবার কলেজ খুললে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসে। শিক্ষক জসিম ক্লাসে যান। আমার পাশে কয়েকজন শিক্ষক ছিলেন। হঠাৎ স্থানীয় সন্ত্রাসী আরিফুর রহমান অপু, আজিম এসে আমাকে টেনে নিয়ে মারধর ও বিবস্ত্র করে ফেলে। আমার প্যান্ট পর্যন্ত ছিঁড়ে খুলে ফেলেছে। এ সময় অপু গালিগালাজ করে বলে, সাদিকের কথায় এই কলেজ চলবে না। তখন আমি বলি, কলেজ তো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চালায়, সাদিক নয়। হামলাকারীরা প্রতিমন্ত্রীর লোকজন।’

 

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, ‘নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতির ওপর হামলা করেছে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে।’ হামলাকারীরা কেন আপনার নাম বারবার বলেছে, এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তা তারাই বলতে পারেন।’

 

তবে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের অনুসারী নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম বলেন, ‘তারা অযৌক্তিক কথা বলেন। আনোয়ারের কাছে অনেক টাকা পায়। পারিবারিক বিরোধও আছে। তবে ওই ঘটনায় প্রতিমন্ত্রীর কোনো লোক জড়িত নন। প্রতিমন্ত্রী কোনো ধরনের উসকানিমূলক ঘটনা না করার জন্য নির্দেশ দিয়ে গেছেন।’

 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. ফজলুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও খবর

Sponsered content