রাজনীতি

ফখরুল এখনো পাকিস্তানের জয়গান গায়-ওবায়দুল কাদের

  প্রতিনিধি ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১:২০:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

মাজহারুল ইসলাম।। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,পাকিস্তান আজ তলিয়ে গেছে,অর্থনীতিতে ডুবে গেছে।ফখরুল এখনো পাকিস্তানের জয়গান গায়।৭১ ফখরুলের পছন্দ নয়। ষসোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফখরুলের প্ছন্দ নয়।এজন্য মিটিং করতে গেছে গোলাপবাগের গরুর হাটে।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করবে না।কারণ সেখানে আত্মসমর্পণ করেছে পেয়ারা পাকিস্তান।সেখানে ৭ মার্চের ভাষণ হয়েছে।ফখরুলের পেয়ারা দোস্ত পাকিস্তান।এরা পাকিস্তানের কথা বলে সকালে ঘুম থেকে উঠে।পাকিস্তানের জয়গান গেয়ে রাতে ঘুমায়।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার নোয়াখালীর কবিরহাট বাজারে বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেছেন,বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের বোরকা পরিয়ে ঘরে রাখবে।এরা যদি আবারো ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশ আফগানিস্তান হবে।মেয়েরা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবে না।এরা ক্ষমতায় গেলে মেয়েরা সরকারি চাকরি করতে পারবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন,আজকে পুলিশের এসপি,ডিসি মেয়ে, আজকে সচিব নারী,হাইকোর্টের প্রধান বিচারপ্রতি নারী, আর্মির মেজর নারী।কে করেছে।শেখ হাসিনা করেছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলা আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন,বাংলাদেশে এখনো পাঁচ মাসের আমদানি রিজার্ভ মজুদ রয়েছে।পাকিস্তানের কাছে এক সপ্তাহ আমদানি করার টাকা নেই।তারপরেও মির্জা ফখরুল বলে পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম।

সেতুমন্ত্রী বিএনপির নেতাকর্মীকে ইঙ্গিত করে বলেন,আমরা তাদের আক্রমন করতে চাই না।কিন্ত সিরাজগঞ্জের পাইক পাড়ায় আগুন নিয়ে ১৮টি মোটরসাইকেল অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে।তারা কারা!তাদেরকে বলতে চাই,যে হাত অস্ত্র নিয়ে আসবে,সেই হাত ভেঙে দেব,যে হাত আগুন নিয়ে আসবে সেই হাত পুড়িয়ে দেব,যে হাত ভাংচুর করতে আসবে,সেই হাত গুটিয়ে দিতে হবে।আমরা আক্রমন করব না,কিন্ত আক্রান্ত হলে আমরা কিন্তু ছাড় দেবো না।হবে ফাইনাল খেলা,হবে ডিসেম্বরে,আগামী ডিসেম্বরে।এ সময় সেতুমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকার কবিরহাট উপজেলার ৫১টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্ভোধন করেন।

কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম,সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্যাহ খান সোহেল,সেতুমন্ত্রীর ভাগনে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত,কবিরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সদস্য মামুনুল হক মামুন প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content