শিক্ষা

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের সুপারিশ

  প্রতিনিধি ২৭ অক্টোবর ২০২৫ , ৬:৫৯:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক যারা আছেন তাদের ১১তম গ্রেডের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।

মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নিজ কার্যালয়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

শামসুজ্জামান বলেন,আমরা প্রধান শিক্ষকদের জন্য দশম গ্রেড এরইমধ্যে ঘোষণা করেছি এবং সেই লক্ষ্যে কাজও হচ্ছে।খুব সহসাই দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হবে।আর সহকারী শিক্ষক যারা আছেন তাদের ১১ তম গ্রেডের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি।পে কমিশনে এটা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে।শিক্ষকদের যে শূন্য পদগুলো আছে তা পূরণ করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।

সারা দেশে এ মুহূর্তে ১৩ হাজার ৫০০ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন,আমরা শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালাটা হাতে পেলেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যাব। আশা করি খুব অল্প সময়ে অর্থাৎ আগামী নভেম্বর মাসে আমরা বিজ্ঞপ্তি দিতে পারব।

তিনি বলেন,এর বাইরেও দীর্ঘদিনের একটা সমস্যা জমে আছে।সেটা হলো ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক এই মুহূর্তে চলতি দায়িত্বে অথবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।এটা নিঃসন্দেহে তাদের জন্য খুব যন্ত্রণাদায়ক।

পদগুলো শূন্য থাকার পরও একটি মামলার জন্য তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন,আশা করছি খুব অল্প সময়ে এ মামলার রায় হয়ে যাবে।এরফলে এই ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ আমরা পূরণ করতে পারব।একই সাথে তখন সহকারী শিক্ষকের পদগুলোও শূন্য হবে। এরপর ৩২ হাজার পদে আবারো নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যাবে।

মহাপরিচালক বলেন,আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে খুব গুরুত্ব দিচ্ছি।আমরা তাদের লিডারশিপ ট্রেনিংসহ অন্য ট্রেনিংগুলোকে কীভাবে আরো ইনক্লুসিভ করা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধান শিক্ষকদের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে ক্ষুদ্র মেরামত বা স্লিপের জন্য প্রধান শিক্ষকরা দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারতেন।এটাকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করাসহ অন্যান্য জায়গাতেও কীভাবে তারা আর্থিকভাবে ক্ষমতাবান হতে পারেন সেই জায়গায় আমরা কাজ করছি।বিশেষ করে নির্মাণ কাজ অথবা মেরামতের কাজের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রধান শিক্ষক এবং আমাদের শিক্ষা অফিসারের যৌথ স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। দুজনেরই প্রত্যায়ন ছাড়া কোনো বিল প্রদান করা হবে না।

মহাপরিচালক আরও বলেন,আমরা আশা করছি যে আগামী দিনগুলোতে প্রধান শিক্ষকদের আরও ক্ষমতা দিতে পারব। আমরা আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সারাদেশে যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তার নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে সংস্কার কাজের জন্য অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছি।এসব প্রকল্পের কাজ শেষে আশা করি আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে জরাজীর্ণ কোনো স্কুল থাকবে বলে আমি মনে করি না।

শামসুজ্জামান বলেন,এছাড়া প্রাইমারির সব স্কুলেই যাতে ইন্টারক্টিভ ফ্ল্যাট প্যানেল একেবারে প্রদান করা যায় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।আমরা ইতোমধ্যে তিন হাজার ইন্টারক্টিভ ফ্ল্যাট প্যানেল বিতরণের পর্যায়ে রয়েছি।আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে হয়তো আমরা অর্ধেকেরও বেশি স্কুল কাভার করতে পারব।ক্রমান্বয়ে সব স্কুলেই ইন্টারক্টিভ ফ্ল্যাট প্যানেল দেয়া হবে।

তিনি আশা করে বলেন,আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি তাতে আগামীতে বাচ্চারা খুবই একটা ভালো পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারবে।সর্বোপরি আমাদের স্কুলগুলোতে যে ম্যানেজিং কমিটি আছে সেটা এই মুহূর্তে স্থগিত আছে। আমরা পরবর্তীকালে যখন এটা আবার নিয়মিত করবো তখন সংস্কার করবো।

আরও খবর

Sponsered content