সারাদেশ

প্রবাসীরা পূর্বে পাসপোর্ট দিয়ে রাজউকে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র-নকশা অনুমোদনের আবেদন করতে পারছে না

  প্রতিনিধি ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৩:২০:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনলাইন সার্ভারে পর্যায়ক্রমে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেন মো. আরিফুল হক।দীর্ঘদিন ধরে কাতার প্রবাসী।দেশে তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার কোনাপাড়ার মোমেনবাগ এলাকায়। কোনাপাড়ায় তার নিজের নামে ৫ কাঠার একটি জমিতে বাড়ি নির্মাণ করবেন তাই সকল কাগজপত্র স্ক্যান করে আবেদন করেছেন।কিন্তু রাজউকের অনলাইন সার্ভারে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কয়েকবার আবেদন করেও আবেদন করতে পারলেন না।অনলাইনে বাধ্যতামূলক জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার দিয়ে শুধু আবেদন করার অপশন রয়েছে।পূর্বের ন্যায় অনলাইন সার্ভারে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে এখন আর আবেদন করা যাচ্ছে না।ফলে এনআইডি জটিলতায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা।

অনেক প্রবাসী দেশের বাইরে থাকলেও তারা চাইলে এনআইডি বানাতে পারছেন না বিদেশে এনআইডি বানানো অপশন না থাকাসহ নানাবিধ কারণে।রাজধানীতে প্রতিবছর ভূমি ব্যবহারের জন্য গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার বেশি ছাড়পত্রের আবেদন জমা হয় এর পরে পর্যায়ক্রমে ১০ হাজার ভবনের নকশার অনুমোদন দেয় রাজউক।গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজউকের আটটি অঞ্চলে নকশা অনুমোদন,ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও ভূমি একত্রীকরণের আবেদন জমা পড়েছে ৩ হাজার ২০১টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৬৯০টি।ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রের আবেদন পড়েছে ১ হাজার ৮২১টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ৯৭টি।এর বেশির ভাগ সাভার, ভুলতা,পূর্বাচল উপশহর ও কেরানীগঞ্জ এলাকার।তবে নতুন সার্ভারে নতুন নিয়মে এনআইডি কার্ড বাধ্যতামূলক সংযোজনের ফলে ছাড়পত্রের আবেদন হার কমে গেছে। বিশেষ করে প্রবাসিদের এনআইডি কার্ড না থাকায় তারা এখন আবেদন করতে পারছে না।

মনোয়ার হোসেন নামে এক কুয়েত প্রবাসী বলেন,নতুন নিয়মে এনআইডি কার্ড বাধ্যতামূলক সংযোজনের ফলে আমি আবেদন করতে পারছি না।রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন জাতীয়পত্র বানিয়ে এরপর আবেদন করেন নইলে কিছুই করার নেই।আমি অল্প কয়দিনের ছুটিতে দেশে এসেছি কিন্তু বর্তমানে জাতীয় পরিচয় পত্র বানানো অসম্ভব।রাজউক দুইদিন পর পর নতুন নিয়ম বের করে আর ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের।’

ঢাকায় ভবন নির্মাণে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র,নকশা অনুমোদন সেবা পেতে বিড়ম্বনার শিকার হননি,এমন নাগরিকের সংখ্যা খুব কম বলা যায়।প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী নকশা অনুমোদন ও ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রের জন্য আবদেন করা লাগে।কিন্তু অনুমোদন কবে মিলবে তা কেউ জানে না।মাসের পর মাস এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে ফাইল ঘোরে।কিছু ক্ষেত্রে ফাইলের হদিসও পাওয়া যায় না।আবার নানান অজুহাতে প্রতারণার শিকার হন নাগরিকেরা।এছাড়া এই সেবা ঘিরে সক্রিয় একটি দালালচক্র।ভোগান্তি থেকে গ্রাহকদের মুক্তি দিতে উদ্যোগ নিয়েছিল রাজউক।তারা সেবা কার্যক্রম শতভাগ অনলাইন করতে চালিয়ে যাচ্ছে কার্যক্রম।

প্রবাসীরা পূর্বে পাসপোর্ট দিয়ে রাজউকে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র-নকশা অনুমোদনের আবেদন করতে পারছে না কিন্তু এখন জাতীয়পত্র বাধ্যমূলক ফলে ভোগান্তির পোহানোর বিষয়ে রাজউকের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিঞা বলেন,‘নতুন কোন জিনিসের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরুতে আমাদের সমস্যা হবেই।সবারই জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক এবং সরকারি নির্দেশ মোতাবেক সব দাপ্তরিক কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা বাধ্যতামূলক।প্রবাসীদের যাদের সমস্যা হচ্ছে তাদের জন্য আমাদের ভাবতে হবে।’

আরও খবর

Sponsered content